মাদারীপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাস্টার্সের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন - SongbadProtidin24Online.com

সর্বশেষ সংবাদ

SongbadProtidin24Online.com

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Tuesday, November 3, 2020

মাদারীপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাস্টার্সের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

 

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাস্টার্সের সনদ জালিয়াতির অভিযোগের পর অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের কাছে দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এছাড়া শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই প্রধান শিক্ষকের সনদ যাচাই করতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখেছেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রমানপত্রাদিসহ লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেকসোনা খাতুনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় (জিডি- ১৫০৮) এবং ওই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ জহিরুল ইসলামের শিবচর থানায় দায়েরকৃত (জিডি নং-১২০৮) সাধারণ ডায়রীর তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। 

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্র জানায়, নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার ভুইঘর পশ্চিমপাড়া গ্রামের শাহাবুদ্দিন সাউদ ও রাশিদা বেগমের ছেলে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন যে, শিবচরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তার মাস্টার্স এর সনদ ব্যবহার করেন। ২ ব্যক্তির দাবিকৃত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা কলেজে ২০০৯-১০ বছরে মাস্টার্স ইংরেজি বিষয়ে মাস্টার্স সনদে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন এবং নাম মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম একই। এ কারণে সনদটি যাচাই করা প্রয়োজন হয়। তাই শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত সোমবার (২ নভেম্বর) তারিখ ৭৬০ নং স্মারকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ও একই দিনে ৭৬১নং স্মারকে ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষের কাছে চিঠি লিখেন। এছাড়া গত রোববার (১ নভেম্বর) প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের কাছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার স্বপক্ষে প্রমান পত্রাদিসহ লিখিত জবাব চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। আগামী ৭দিনের মধ্যে ওই চিঠির জবাব দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করেন।


শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়টি জোড়ালোভাবে তদন্ত চলছে। 

এ কারণে প্রধান শিক্ষকের মাস্টার্স এর সনদ যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও অধ্যক্ষ, ঢাকা কলেজ এর কাছে লিখিত চিঠি পাঠিয়েছি। এছাড়া প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের কাছেও প্রমানপত্রাদিসহ লিখিতভাবে জবাব প্রদানের জন্য জানতে চেয়েছি। মাস্টার্স সনদের জাল-জালিয়াতির প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড.রহিমা খাতুন জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের সনদে জাল-জালিয়াতির প্রমান পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা বা ছবি এবং ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here