ছবিঃ সুলতানা আক্তার |
মারাত্মকভাবে এসিড দ্বারা দগ্ধ হয়ে ১৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চিরবিদায় নিয়েছেন মাদারীপুরের চরমুগরিয়া বন্দরের গুচ্ছগ্রাম এলাকার ১৬ বছর বয়সী কিশোরী সুলতানা আক্তার। বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়। ঢাকা থেকে তার লাশ নিয়ে মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে তার পরিবারের লোকজন।
এসিডদগ্ধ ঐ কিশোরীর পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, চরমুগরিয়া বন্দরের গুচ্ছগ্রাম এলাকার সামচু বেপারীর মেয়ে সুলতানার সাথে বরিশালের ভূরঘাটা এলাকার মুকুল হাওলাদারের ছেলে সুজন হাওলাদারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বান্ধবীর সহযোগিতায় ঈদের পরের দিন গত ৭ই অক্টোবর সুজনের সাথে বারি ছাড়ে সুলতানা। বিয়ে না করে সুজন কৌশলে তাকে ভূরঘাটা নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে সুলতানার মুখমণ্ডলসহ বুকের উপর এসিড ঢেলে দেয়। এতে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয় সুলতানা। প্রথমে তাকে কালকিনি হাসপাতালে ও পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। চরমভাবে দরিদ্র ঐ পরিবারের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসাও করা সম্ভব হয়নি। ১৬ দিন পর অবশেষে গত বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ওই পরিবারে এখন শুধু কান্নার রোল।
এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় মাদারীপুর জেলার পার্শ্ববর্তী বরিশাল জেলার গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।
বরিশালের গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম সংবাদপ্রতিদিন২৪ অনলাইন ডটকমকে জানান, এই বিষয়ে ৯ই অক্টোবর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাকে আসামী করা হয়েছে সে বাসের হেল্পার। মোবাইল ব্যবহার না করায় তাকে ধরতে অসুবিধা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক। তবে তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
No comments:
Post a Comment