রোববার সকালে বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় জিম্বাবুয়ে-দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খানিকটা বিপাকে পড়ে প্রোটিয়াসরা। ৮৩ রান তুলতেই তারা হারিয়ে ফেলে প্রথম সারির চার-চারটি উইকেট। এরপর কিলার মিলার খ্যাত ডেভিড মিলার ও জেপি ডুমিনি যা করে দেখালেন সেটার বর্ণনা করার ভাষা নেই।
কোনো বিশেষণেই তাদের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করা যায় না। তারা দুজন মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ২৫৬ রান সংগ্রহ করে বিশ্বকাপ তো বটেই, ওয়ানডের ইতিহাসেও বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। ২৫৬ রান তারা তুুলেছেন মাত্র ১৭৮ বলে!
৮৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে
জুটি গড়েন মিলার ও ডুমিনি। এই জুটি আর বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
এই জুটি প্রথমে দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকে। এরপর উইকেটে থিতু হয়ে
জিম্বাবুয়ের বোলারদের উপর চড়াও হতে থাকেন। এক সময় তা-ব শুরু করেন তারা। ঝড়
তোলেন ব্যাটিংয়ে। শেষ পর্যন্ত পঞ্চম উইকেট জুটিতে ২৫৬ রান তুলে ইনিংস শেষ
করেন তারা। এ যাত্রায় ডেভিড মিলার অপরাজিত থাকেন ১৩৮ রানে।
আর ডুমিনি
অপরাজিত থাকেন ১১৫ রানে। কিলার মিলার ১৩৮ রান করেন মাত্র ৯২ বলে। তার এই
ইনিংসে ৭টি চার ও ৯টি ছক্কার মার ছিল। অন্যদিকে ১০০ বল খেলে ১১৫ রান করেন
ডুমিনি। তার এই ইনিংসে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার মার ছিল।
তবে সবচেয়ে বড় যে কীর্তিটি তারা স্থাপন
করেছেন সেটা হলো বিশ্ব রেকর্ড। পঞ্চম উইকেট জুটিতে বিশ্বকাপের বিশ্ব রেকর্ড
২৫৬ রান। শুধু বিশ্বকাপে কেন? ওয়ানডে ক্রিকেটে ইতিহাসে পঞ্চম উইকেট জুটিতে
তারা দুজন সর্বকালের সর্বোচ্চ রান তুলেছেন। এর আগে ২০১৩ সালে
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইয়ান মরগান ও রবি বোপারা মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে
অপরাজিত ২২৬ রান তুলে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন। আজ সেটা ভেঙে ২৫৬ রান তুলে
বিশ্ব রেকর্ড গড়েন মিলার ও ডুমিনি।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১৯৯৭ সালে মোহাম্মদ
আজহার উদ্দিন ও অজয় জাদেজা মিলে ২২৩ রানের জুটি গড়েছিলেন। ২০০৫ সালে
অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস ও মাইকেল ক্লার্ক মিলে গড়েছিলেন ২২০ রানের রেকর্ড।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment