প্রস্তাবিত ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের বাজেটে বেশকিছু পণ্যের শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
একই সঙ্গে সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সারচার্জ আরোপ এবং ট্যারিফ বৃদ্ধিসহ রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বেশকিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে :
বিদেশি মোটরসাইকেল : দেশীয় মোটরসাইকেল শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে বিদেশ থেকে আমদানি করা চার স্ট্রোক ইঞ্জিনের মোটরসাইকেলের ওপর আমদানি শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ফলে বিদেশি মোটরসাইকেলের দাম বাড়বে।
এলসিডি/এলইডি টিভি : দেশি শিল্পের বিকাশে বিদেশি এলসিডি/এলইডি টেলিভিশনের ওপর আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে বিদেশি ব্র্যান্ডের ওই টেলিভিশন কিনতে বাড়তি দাম গুনতে হবে ক্রেতাদের।
বিড়ি ও সিগারেট : প্রস্তাবিত বাজেটে মানভেদে বিড়ি ও সিগারেটের দাম বাড়ছে। মানভেদে সিগারেটের কর হার ২ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিড়ির ক্ষেত্রে ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার প্যাকেটের ক্ষেত্রে ৬ দশমিক ১৪ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৭ দশমিক ৬ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার প্রতি প্যাকটে ৬ দশমিক ৯২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৯৮ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আমদানীকৃত চা : আমদানি করা চায়ের দাম বাড়ছে। চায়ের দেশজ উৎপাদন সংরক্ষণের স্বার্থে চা আমদানিতে প্রযোজ্য ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করে ২০ শতাংশ ধার্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
চামড়ার তৈরি জিনিসপত্র : চামড়া দিয়ে তৈরি জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এ সংক্রান্ত পলিশ ও ক্রিমসহ অন্যান্য কাঁচামালের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মোটরগাড়ির টায়ার : বিদেশ থেকে আমদানি করা মোটরগাড়ির টায়ারের দাম বাড়তে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে টায়ারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ আরোপ করা হয়েছে।
অটোরিকশা : দুই বা চার স্ট্রোক-বিশিষ্ট অটোরিকশা বা থ্রি হুইলারের ইঞ্জিনের দাম বাড়ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ফিল্টার : দাম বাড়ছে ফিল্টারের। প্রস্তাবিত বাজেটে সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ব্যাটারি, সিলভার অক্সাইড/লিথিয়াম/এয়ারজিংকসহ অন্যান্য ব্যাটারি থেকে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে দাম বাড়বে এসব পণ্যের।
ইলেকট্রিক ব্যাটারিচালিত মোটরগাড়ি : এই গাড়ির ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দাম বাড়তে পারে এই গাড়ির।
রিভলবার ও পিস্তল : দাম বাড়ছে রিভলবার ও পিস্তলসহ এজাতীয় পণ্যের। রিভলবার ও পিস্তলের সম্পূরক শুল্ক ১০০ শতাংশ থেকে ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৈদ্যুতিক পাখা : মিথ্যা ঘোষণা ও শুল্ক ফাঁকি রোধে সব ধরনের ফ্যানে সমহারে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বর্তমানে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক এবং ১৫ শতাংশ মূসক কার্যকর রয়েছে। তাই দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বৈদ্যুতিক পাখার।
সিল্ক কাপড় : দাম বাড়বে বিদেশি সিল্ক কাপড়ের। কারণ, প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশ থেকে আমদানি করা সিল্ক কাপড়ের ওপর ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
লৌহজাত পণ্য : লৌহজাত পণ্য, বিশেষ করে নির্মাণশিল্পের জন্য অপরিহার্য রডের দাম বাড়বে। কেননা প্রস্তাবিত বাজেটে রড তৈরির উপাদান বিলেট আমদানিতে টনপ্রতি ২ হাজার টাকা গুনতে হবে আমদানিকারকদের। ফলে এ পণ্যের দাম বাড়ছে।
স্বর্ণালংকার : প্রস্তুতকৃত স্বর্ণ ও রুপা থেকে অলংকারে দাম বাড়তে পারে। কেননা প্রস্তাবিত বাজেটে সোনা ও রুপা এবং স্বর্ণের ও রৌপ্যের দোকানদার এবং স্বর্ণ পাকাকারী সেবার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫ শতাংশ এবং যোগানদার সেবার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৪ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫ শতাংশ মূসক নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ইমিটেশন জুয়েলারি : ইমিটেশন জুয়েলারির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে এসবের দাম বাড়ছে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment