নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : বর্বরোচিতভাবে সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং ঘাতকদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নগরীর কুমারগাঁও তেমুখী পয়েন্টে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে হাজার হাজার মানুষের কন্ঠে ছিল একই সুর, একই দাবি ‘রাজনের খুদিনের ফাঁসি চাই’।
স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকেলে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদের সভাপতিত্বে ও যুবলীগ নেতা মকসুদ আহমদের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
মিসবাহ সিরাজ তার বক্তব্যে বলেন, সৌদি আরবের জেদ্দায় আটক খুনি কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও উদ্যোগ নিয়েছেন। রাজনের খুনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউই রেহাই পাবে না।
তিনি বলেন, (ওসি-তদন্ত) আলমগীর হোসেন ও এসআই আমিনুল ইসলামকে থানায় রেখে সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব নয়। রাজনের পরিবার এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। এদেরকে থানা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।
তিনি রাজনের খুনিদের পক্ষে কোনো আইনজীবীকে আদালতে মামলা পরিচালনা না করার আহ্বান জানান।
রাজনের চাচা আবদুল মালিক শেষ পর্যন্ত যাতে খুনিরা শাস্তি পায়, তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। যে স্থানে রাজনকে হত্যা করা হয়েছে, সে-ই স্থানেই গাছে ঝুলিয়ে যাতে খুনিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়, সেই দাবিও জানান তিনি।
ঘাতক কামরুলের গ্রাম শেখপাড়ার পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, গ্রামের মানুষও রাজনের খুনিদের বিচার চায়। বর্বর এই হত্যাকা-ের সঙ্গে কামরুল জড়িত থাকায় তার পরিবারকে পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ অতিথি জেলা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি শামসুল ইসলাম, গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, টুকেরবাজার ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ আহমদ, কান্দিগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, মোগলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম টুনু, সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাশ, এলাকার প্রবীণ বক্তিত্ব অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, রাজনের চাচা আবদুল মালিক, শেখ পাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
এদিকে সমাবেশের আগে নগরীর পাঠানটুলা থেকে তেমুখী পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন করেছে। সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল তেমুখী ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, মদিনা মার্কেট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, পাঠানটুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, আখালিয়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, গুয়াবাড়ি ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, সোনাতোলা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, আখালিয়া নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, বাদাঘাট বহুমুখী সমবায় সমিতি, মদিনা মার্কেট ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, বড়গুল সমাজ কল্যাণ সংস্থা, বৃহত্তর কুমরাগাঁও এলাকাবাসী, শেখপাড়া সচেতন এলাকাবাসী প্রভৃতি।
মানববন্ধন শেষে মিছিল সহকারে কয়েক হাজার মানুষ সমাবেশে যোগ দেয়। সমাবেশে কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment