সিম নিবন্ধন : দুই মাসে কমেছে ২৬ লাখ গ্রাহক !!!!!! - SongbadProtidin24Online.com

সর্বশেষ সংবাদ

SongbadProtidin24Online.com

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Thursday, March 17, 2016

সিম নিবন্ধন : দুই মাসে কমেছে ২৬ লাখ গ্রাহক !!!!!!


দেশে গত দুই মাসে মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা কমেছে ২৬ লাখ ৩৫ হাজার। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ হিসাব উঠে এসেছে।

মূলত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়ার ফলেই এমন প্রভাব পড়ছে বলে দাবি করছেন মোবাইল অপারেটর  কোম্পানিগুলো।কোম্পানিগুলোর  দাবির সঙ্গে একমত হলেও কিছু ভিন্ন যুক্তিও দেখিয়েছে বিটিআরসি ।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে ৮ লাখ ৭১ হাজার মোবাইল গ্রাহক কমে। এর আগে জানুয়ারি মাসে কমেছিল ১৭ লাখ ৬৪ হাজার গ্রাহক। এই নিয়ে দুই মাসে গ্রাহক কমেছে ২৬ লাখ ৩৫ হাজার।

তথ্যে উঠে আসে, গত নভেম্বর মাসের টোটাল মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৩১ লাখ ৬৩ হাজার। ডিসেম্বরে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ থেকে শুরু হয় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। তারপরেই এক ধাপে কমে এসে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার। ফেব্রুয়ারিতে তা কমে দাঁড়ায় ১৩ কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার।

গত বছরের অপারেটরদের গ্রাহক প্রবৃদ্ধি ছিল ৪৭ শতাংশ। এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণফোনের গ্রাহকসংখ্যা হয়েছে ৫ কোটি ৬১ লাখ, জানুয়ারিতে যা ছিল ৫ কোটি ৬২ লাখ ৪ হাজার। বাংলালিংকের গ্রাহকসংখ্যা এ সময়ে প্রায় ৪ লাখ কমে হয়েছে ৩ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার। জানুয়ারিতে যা ছিল তিন কোটি ২৩ লাখ ৬৮ হাজার।


রবির গ্রাহকসংখ্যা ফেব্রুয়ারিতে ২ লাখ কমে ২ কোটি ৭৫ লাখ ৫৩ হাজার হয়েছে। জানুয়ারিতে যা ছিল ২ কোটি ৭৭ লাখ ৯৫ হাজার। একই সময়ে এয়ারটেলের গ্রাহকসংখ্যা ১ কোটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার থেকে কমে ১ কোটি ৩ লাখ ৫১ হাজার হয়েছে। সিটিসেলের গ্রাহক ৮ লাখ ৬৭ হাজার থেকে আরও কমে হয়েছে ৮ লাখ ৩৩ হাজার। সরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক ৪৬ হাজার বেড়ে ৪২ লাখ ৫৭ হাজার হয়েছে।

দেশে চালু থাকা মোট সক্রিয় সিমের হিসাবে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। একটি সিম যদি একটানা ৯০ দিন বন্ধ থাকে তাহলে সেটিকে আর চালু সিম হিসেবে গণ্য করা হয় না।

বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। অনেক গ্রাহক মনে করছে ৪-৫টা সিম পড়ে আছে বাসায়। তারা চিন্তা করে দু’টি ইউজ করলেই হবে। এতগুলো ইউজ করার দরকার কি?

তাছাড়া মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি (এমএনিপি) অর্থ্যাৎ, নাম্বার পরিবর্তন না করে পছন্দের অপারেটরের সার্ভিস গ্রহণের সুবিধা আসছে দেখে অনেকেই অনেকগুলো সিম ইউজ করছে না।

বিটিআরসি আরো জানায়, দেশে ১৩ কোটি সিম। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মাত্র ৭-৮ কোটি। প্রত্যেকে প্রয়োজনীয় সিমটি রেজিস্ট্রেশন করেই বাকিগুলো নিয়ে চিন্তা করছে না। যার কারণে এটি কমে যেতে পারে।

জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটর রবির সহ-সভাপতি ইকরাম কবির জানান, বায়োমেট্রিক পদ্ধতির কারণেই আজকের এই প্রবণতা। অমাদের দেশটা হল মাল্টিপল সিমের দেশ। একজন তিন-চার অপারেটরের সিম ইউজ করে। গ্রাহকরা চার জায়গায় গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবে না। এক জায়গায় করে বাকিগুলো খুলে রাখছে। যার কারণে গ্রাহক সংখ্যা উত্তরোত্তর কমে যাচ্ছে। যার কারণে আয়েও কিছুটা ভাটা পড়তে পারে বলে মনে করেন তিনি।


এ বিষয়ে কথা হয় বিটিআরসির সচিব গোলাম সরোয়ারের সঙ্গে। তিনি বলেন, এটি গবেষণা করে দেখতে হবে। আরো কয়েকমাসের অবস্থা দেখে বিষয়টি অনুমান করা সম্ভব হবে।

তবে এতে রাজস্বের কোনো ক্ষতি হবে না বলে মনে করেন তিনি।তিনি বলেন, এতে অপচয় কমবে এবং মানুষ প্রয়োজনের বেশি কথা বলবে না। সিম কমলেও যে পরিমাণ কথা বলা প্রয়োজন সে পরিমাণ কথা বলবে।

তিনি বলেন, মানুষ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ভিত্তিতে একাধিক সিম নিয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান বায়োমেট্রিক পদ্ধতি আসাতে অনেকেই হয়তো প্রয়োজনীয় সিমটিকে রেজিস্ট্রেশন করে বাকিগুলো করছে না। যার কারণে গ্রাহক সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তবে এতে রাজস্ব আয়ে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।



No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here