রাজধানীর ইস্কাটনে সিনিয়র সচিব, সচিব ও গ্রেড-১ কর্মকর্তাদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে সরকার। সচিবদের আবাসনের জন্য সাড়ে ৭ বিঘা জমি উপর তিনটি ভবনে ১১৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষ্যে ২৭৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকার ইস্কাটনে সিনিয়র সচিব, সচিব ও গ্রেড-১ কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি
সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে
নিয়মিত একনেক বৈঠকে প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার ইস্কাটনে সিনিয়র সচিব,
সচিব ও গ্রেড-১ কর্মকর্তাদের জন্য আবাসন ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এ
উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ২০১৬
সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় আওতায়।’
প্রকল্পটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সিনিয়র
সচিব, সচিব দেশের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। তাদের কাছে অনেক স্পর্শকাতর তথ্য
থাকে। একারণে তাদের নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধাদি প্রয়োজন। কিন্তু তাদের
জন্য কোনো সংরক্ষিত এলাকা নেই। এ প্রেক্ষিতে রমনার ইস্কাটনে ৭ দশমিক ৬৩১
বিঘা সরকারি জমিতে বিদ্যমান পাঁচটি টেনামেন্ট হাউজ আছে। সেখানে পাঁচ জন
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বসবাস করেন। প্রকল্পের আওতায় এসব ভবন ভেঙে তিনটি ভবনে
১১৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এতে ১১৪ জন সিনিয়র সচিব, সিচিব ও গ্রেড-১
কর্মকর্তাদের পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেয়া হবে।’
প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে জানা যায়,
এর আওতায় তিনটি ২০তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ২০ তলা ভবনে ৩৮টি করে
মোট ১১৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। ফ্ল্যাটগুলোর আয়তন হবে ৩ হাজার ৪৭০
বর্গফুট। ৩৭১ দশমিক ৬০ বর্গমিটার আয়তনের চারতলা বিশিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্র
নির্মাণের পাশাপাশি পানি সরবরাহ ও বিদ্যুতায়নের আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে
এখানে। ৩৭১ দশমিক ৬০ বর্গমিটার আয়তনের চারতলা বিশিষ্ট কমিউনিটি বিল্ডিংও
নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া, আধুনিক আবাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি
আরও থাকছে সুইমিংপুল লন, টেনিস ও ব্যাডমিন্টন কোর্ট, গভীর নলকূপ, এসটিপি,
ড্রিংকিং ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে বলেও জানা যায়।
প্রসঙ্গত, আজকের একনেক বৈঠকে মোট ১৬টি
প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে
১৬ হাজার ৮৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১৪ হাজার ৪১ কোটি
২৭ লাখ, সংস্থার নিজস্ব তহাবিল থেকে ৫৯৬ কোটি ২৭ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য
থেকে ২ হাজার ২৫০ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া
নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment