মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রাজায়ার কাছেই সাইবারজায়ায় অবস্থিত মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটি (এমএমইউ)’র পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টস-এর নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তপু বিশ্বাস। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে প্রথম বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে কৃতিত্ব দেখান তপু বিশ্বাস।
১৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়টির সাইবারজায়া ও মেলাকা ক্যাম্পাসে যুগপৎ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। দুই ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের গড় ভোটের প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তপু বিশ্বাস এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন কাবিলা কান্তাসামি সি, জে।
কান্তাসামি ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং বর্তমানে মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পিএইচডি শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তপু বিশ্বাস দেশ থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য গবেষণা বৃত্তি নিয়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। এই বৃত্তির অর্থায়ন করছে মালয়েশিয়ার ‘মিনিস্ট্রি অব সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনভেনশন’।
তিনি সেখানে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে মেডিকেল ইমেজ অ্যানালাইসিস-এর ওপর গবেষণা করছেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই অনেক জাতীয়, আন্তর্জাতিক, সামাজিক এবং টেকনিক্যাল সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অত্যন্ত দক্ষ লিডারশিপ এবং ক্যাম্পাসে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম-সাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে খুব কম সময়ে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি।
উল্লেখ্য, মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্বমানের গবেষণা এবং শিক্ষার মান নিয়ে আপোসহীন হওয়ায় এটি দ্রুত বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জায়গা করে নেয়। ২০১৫-১৬ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি জরিপে এ বিশ্ববিদ্যালয় টপ-২০০ এর মধ্যে থাকার মর্যাদা অর্জন করে। মাইক্রোসফট, ডেল, ইনটেল, সিসকো, মটোরোলা ও নকিয়ার মতো বিশ্বের আরও অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ল্যাব রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে; রয়েছে আন্তঃসহযোগিতা বিষয়ক চুক্তিও।
২০০২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিল গেটস মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটি সফর করেন। বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশ থেকে প্রতিবছর বহু শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর সবচেয়ে বড় সফলতা হলো বিগত কয়েক বছরের অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী, যারা আজ বিশ্বের বড় বড় আইটি প্রতিষ্ঠানে সফলতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরিপে বলা হয়, এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ৯৭ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষা সমাপনীর ছয় মাসের মধ্যেই চাকরিতে নিযুক্ত হন।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment