পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ জোয়ারের পানিতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন ফকির।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৭ জুলাই লালুয়া ইউনিয়নের কলাউপাড়া গ্রামের আবদুল বারেক ফকিরের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন ফকিরের সঙ্গে রাঙ্গাবালীর গাববুনিয়া গ্রামের হান্নান শিকদারের মেয়ে তামান্না আক্তারের বিয়ের কাবিন হয়। ২৯ জুলাই তাদের বিয়ে হয়।
২১ আগস্ট তামান্না আক্তারকে মহিউদ্দিন ফকিরের বাসায় আনা হয়। ২২ আগস্ট মহিউদ্দিনের পরিবারের উদ্যোগে জোয়ারের পানিতে বাড়ির উঠানে চেয়ার পেতে বর-কনের গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়। এতে স্বজনেরা অংশ নেন। ওই দিন দুপুরে বাড়ির পাশে বোন জামাতার বাড়িতে বৌভাতের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন ৫০০ অতিথি।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন ফকির বলেন, আমাদের বিয়ের আয়োজনটা দেশব্যাপী আলোচিত হয়েছে। আমরা নদীপাড়ের বাসিন্দা, পানির সঙ্গে আমাদের বসবাস। বন্যায় বাড়িতে পানি থাকা স্বাভাবিক। এজন্য তো বিয়ে বন্ধ থাকতে পারে না। তাই জোয়ারের পানির মধ্যে ২২ আগস্ট গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই দিন দুপুরে স্কুলের পাশে আমার বোন জামাইয়ের বাড়িতে ৫০০ মানুষের উপস্থিতিতে বৌভাতের অনুষ্ঠান করা হয়।
মহিউদ্দিন ফকির আরও বলেন, বর্তমানে আমি ও আমার স্ত্রী আমাদের বাড়ি আছি। ফেসবুকে আমাদের বিয়ের ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হওয়ায় ভালো লাগছে। তবে আয়োজনটা আরও বড় করতে পারলে আরও ভালো লাগতো।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়ারের পানির মধ্যে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করে ফেসবুকের কল্যাণে আলোচিত হয়েছেন। বিষয়টি আমাদেরও ভালো লেগেছে।
মহিউদ্দিনের বাবা আবদুল বারেক ফকির বলেন, কী করমু কন? ঘরে পানি, বাইরে পানি। নাইম্যা কোথাও যে যামু, হেই পরিস্থিতি নাই। বাধ্য হইয়াই বাড়ির উডানে হলুদের আয়োজন করতে হইছে আমাগো।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment