বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি (বাচসকস) সরকারের কাছে তাদের পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) গোল টেবিল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের এ দাবি তুলে ধরা হয়।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সদ্স্য ও সিজিএ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মন্তাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রজাতন্ত্রের নিম্নবেতনভোগী অধিক পরিশ্রমি হতদরিদ্র অসহায় কর্মচারী। আমাদের এ সামান্য বেতনে বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা যায় না। মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সবসময় অভাব অনটনে থাকতে হয়। তাই আমরা সরকারের কাছে আমাদের কিছু দাবি উপস্থাপন করছি-
দাবিগুলো হলো- আউট সোসিংয়ের মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেণি পদে জনবল নিয়োগ প্রথা বাতিল; ৫০ শতাংশ পোষ্য কোটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে যোগ্যতা অনুযায়ী পোষ্যদের শূন্যপদ নিয়োগ দেয়া; ওয়ার্ক চার্জ, মাস্টার রোল, দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিত; চাকরির ১০ বছর পূর্তিতে ১০০ ভাগ সিলেকশন গ্রেড প্রদান; বঙ্গবন্ধু সরকার প্রদত্ত বেতন-স্কেল প্রদান; ব্লক-পোস্ট প্রথা বাতিল করে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি দেয়া। চাকরি চলাকালীন গৃহনির্মাণের জন্য ১০ লাখ টাকা বিনাসুদে ঋন দেয়া।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় পরিষদর সভাপতি আবদুল খালেক বলেন, ‘সিলেকশন গ্রেডের জন্য ইতিপূর্বে সকল চতুর্থ শ্রেণির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হইলেও সরকার শুধুমাত্র সচিবালয় কর্মচারীদের সিলেকশন গ্রেড প্রদান করেছে। এতে অন্য কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা আজ বঞ্চিত ও অবহেলিত। যে চতুর্থ শ্রেণির দাবি আদায়ের আন্দোলনে সহযোগিতা করতে গিয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন।’
ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দাবি আদায় না হলে এ মাসেই পাঁচ দফা দাবি আদায়ের জন্য মহাসমাবেশ করে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও হুঁসিয়ারী দেন তিনি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি শাহজাহান, আবুল খায়ের, আনোয়ারা বেগম প্রমুখ।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment