আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের গুপ্তচর। এর তথ্য প্রমাণ রয়েছে। আমার নিজের আইপ্যাডের মধ্যেই তা আছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার বীরোত্তম খাজা নিজামউদ্দিন মিলনায়তনে স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘দেশ ও জাতির উন্নয়নেই শেখ হাসিনা সরকারের কর্মকাণ্ড’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানি বাহিনীর বিগ্রেডিয়ার বেগ মুক্তিযুদ্ধকালে জিয়াউর রহমানের কাছে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। ওই চিঠিতে বিগ্রেডিয়ার বেগ জিয়াউর রহমানকে লিখেছেন- তোমার কর্মকাণ্ডে আমরা খুশি। তোমার স্ত্রী ও পুত্রের জন্য চিন্তা করো না। এ থেকে প্রমাণিত হয় জিয়া পাকিস্তানি বাহিনীর গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন। সাংবাদিকরা যদি চিঠিটি চান আমি আমার আইপড থেকে তা দেখাতে পারি।’
গত সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশান কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা দলের এক সভায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের দল নয়। মুক্তিযুদ্ধে তারা সীমান্ত পাড়ি দেয়া দল। বিএনপিই প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের দল। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা এই দলে আছেন।’
বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যাচার করছেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যার স্বামী মুক্তিযুদ্ধে গুপ্তচর ছিলেন, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের আতিথেয়তা গ্রহণ করেছেন, যিনি রাজাকারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগিয়েছেন তিনি কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে কথা বলেন?’
বিএনপির সমালোচনা করে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশের গণতন্ত্রকে নসাৎ করতে চায়। যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তাদের সঙ্গে জোট করেছে তারা।’
বিএনপির নেতারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ঈদ, শীত শেষে আগামী জানুয়ারিতে আন্দোলন শুরু করবেন। এবার নাকি তিনি একাই রাজপথে নামবেন। যুদ্ধে যখন সৈন্যরা ব্যর্থ হয়, তখনই সেনাপতি যুদ্ধে ক্ষেত্রে নামেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় খালেদা জিয়ার দল ও নেতারা আন্দোলনে ব্যর্থ।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা শেখ জাহাঙ্গীর আলম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, অধ্যাপক ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment