ঢাকা চিড়িয়াখানার যেসব কর্মকর্তারা অন্য দপ্তরে প্রেষণে নিয়োজিত আছেন, তাদের প্রেষণ বাতিল করে চিড়িয়াখানায় ফিরিয়ে আনার জন্য সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। চিড়িয়াখানার সার্বিক কার্যক্রমে গতি ফিরিয়ে আনতে এ সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে চিড়িয়াখানাকে আরও দৃষ্টিনন্দন করতে সামনের দোকানগুলোর ইজারা বাতিলেরও সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বলা হয়, চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি চিড়িয়াখানার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলতে হবে। তাহলেই সাধারণ মানুষ চিড়িয়াখানা দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠবে। এজন্য নিজেদের যেসব কর্মকর্তারা অন্য দপ্তরে প্রেষণে আছে, তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
চিড়িয়াখানার প্রাণীর জন্য ত্রুটিপূর্ণভাবে ও মানহীন খাদ্য সরবরাহের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। চিড়িয়াখানার কর্মরত কর্মচারীদের সরকারি পোশাক পরে অফিসে আসার বিষয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
এদিকে ঢাকা চিড়িয়াখানাসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্ত করার জন্য কামাল আহমেদ মজুমদার এমপিকে আহ্বায়ক করেক একটি সংসদীয় উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এতে ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু এমপি ও খন্দকার আজিজুল হক আরজু এমপি সদস্য হিসেবে রয়েছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ কমিটি তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন।
গত ৫ থেকে ৭ নভেম্বর সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুন্দরবনের জেলে পল্লী সরেজমিন পরিদর্শন করে বৈঠকে এ বিষয়ক প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। এতে নতুন পাওয়া সমুদ্র সীমায় মৎস্য আহরণের জন্য কৌশল ও নীতিমালা প্রণয়ন, মৎস্য আহরণ এলাকাকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করা, দুবলার চর এলাকায় শুটকী উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা গ্রহণ, চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা গ্রহণ, জেলেদের জন্য সোলার প্যানেল স্থাপন, জেলেদেরকে স্বাস্থ্য বীমা ও জীবন বীমার আওতায় অনয়নের ব্যবস্থার জন্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়।
কমিটির সভাপতি মীর শওকত আলী বাদশার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক, কমিটির সদস্য এইচএম ইব্রাহীম, ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু, খন্দকার আজিজুল হক আরজু, মুহাম্মদ আলতাফ আলী এবং সামসুন নাহার বেগম (অ্যাডভোকেট)।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment