ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার জন্য হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছেন অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপী।
হ্যাপির আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ জানিয়েছেন সোমবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তারা রিটের জন্য নথি জমা দিয়েছেন।
রিট আবেদনে রুলের পাশাপাশি রুবেলকে জাতীয় দল ও বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দিতে আদালতের নির্দেশনা চেয়েছেন হ্যাপি, যিনি সম্প্রতি এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক’ গড়ার অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন।
ওই মামলায় জামিনে থাকা রুবেল আসন্ন বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছেন।
রুবেলকে দলছাড়া করার পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার পাসপোর্ট জব্দ করার আবেদনও করেছেন হ্যাপী।
রুবেলের হাত থেকে হ্যাপীর ‘জীবন রক্ষায়’ পুলিশি নিরাপত্তা দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে ওই আবেদনে।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ও বিশ্বকাপ দল থেকে রুবেলের নাম বাদ দিতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না এবং হ্যাপীর মামলার তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত রুবেলের পাসপোর্ট কেন জব্দ করতে বলা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে আরেকটি রুল।
স্বরাষ্ট্র সচিব, ক্রীড়া সচিব, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম, ক্রিকেটার রুবেল হোসেন, নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এবং মিরপুর মডেল থানার ওসিকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
ইউনুস আলী আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, “হ্যাপী আদালতে এসে এই মামলার এফিডেভিট করেছেন।”
হ্যাপী গত ১৩ ডিসেম্বর রুবেলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মিরপুর থানায় মামলা করার পর পুলিশের ব্যবস্থাপনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়।
ওই পরীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি হ্যাপীকে জোর করে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হয়েছে, এমন কোনো আলামত চিকিৎসকরা পাননি।
২১ বছর বয়সী হ্যাপীর দাবি, ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রায় এক বছর আগে তার সঙ্গে পরিচয় হয় রুবেলের। বিয়ের কথা বলে নয় মাস ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখছিলেন রুবেল।
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী হ্যাপী ‘কিছু আশা কিছু ভালবাসা’ চলচ্চিত্রে প্রধান অভিনেত্রীর ভূমিকায় ছিলেন। তার অভিনীত আরও কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায়।
তার অভিযোগ, রুবেল অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার পর তাকে এড়িয়ে চলায় তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
হ্যাপী মামলা করার দুই দিন পরই হাই কোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল।
হ্যাপীর অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলে আসছেন, এই তরুণী তাকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করছে।
হ্যাপীর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ পারভেজের আবেদনে গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত রুবেল হোসেনের ডিএনএ পরীক্ষারও অনুমতি দিয়েছে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment