আগামী ২১ জানুয়ারি আত্মপ্রকাশ করছে উইন্ডোজ ১০। তবে এই অপারেটিং সিস্টেমটিতে থাকছে না ওয়েব ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। তার বদলে থাকবে এক লাইট ওয়েটের নয়া ইন্টারনেট ব্রাউজার। ফায়ার ফক্সের আদলে তৈরি এই ব্রাউজারে থাকছে ’র্স্পাটন’। দেখতে ক্রোম ও ফায়ারফক্সেও চেয়ে আরো আকর্ষণীয় হবে ’স্পার্টন’ ব্রাউজার সংযুক্ত উইন্ডোজের নতুন এই সংস্করণ। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে ব্যবহৃত ওয়েবকিটের পরিবর্তে নতুন ব্রাউজটিকে মাইক্রোসফট চাকরা জাভাস্ক্রিপ্ট এবং ট্রিডেন ইঞ্জিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
উইন্ডোজ ১০ নিয়ে বাজারে নানান গুজব থাকলেও এই তথ্যটি মোটেই সেরকম নয় বলে খবর দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক অনলাইন জেডনেট। তবে এই খবরের সূত্র হিসেবে মাইক্রোসফটের কোনো দায়িত্বশীলের নাম এতে উল্লেখ করা হয়নি।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট জিডিনেটের বরাত দিয়ে সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৫ সালে উইন্ডোজ ১০-এর সঙ্গে ইন্টারনেটের এক্সপ্লোরারের পরিবর্তে নতুন ওয়েব ব্রাউজার উন্মোচন করবে মাইক্রোসফট, যাকে চিহ্নিত করা হচ্ছে ‘স্পার্টান’ নামে। গুগল ক্রোম আর মোজিলা ফায়ারফক্সের সঙ্গে মিল রেখে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্মে তৈরি করা হবে স্পার্টান।
‘ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার’ নামটি শুনলেই মাথায় আসে নিরাপত্তা সমস্যা, মেয়াদোত্তীর্ণ প্রযুক্তিসহ নানা ত্রুটির কথা। ইতিমধ্যে অন্যান্য ব্রাউজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েছে মাইক্রোসফটের এই ওয়েব ব্রাউজার। এক সময়কার সবেচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এই ব্রাউজারের জনপ্রিয়তা ২০১০ সালেই ৫০ শতাংশের নিচে নেমে আসে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ থেকে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার মাইক্রোসফট উইন্ডোজের ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজার। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে ওয়েব ব্রাউজারের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪২ শতাংশ গুগল ক্রোমের দখলে। আর ১৬ শতাংশ ফায়ারফক্সের অধীনে থাকায় পিছিয়ে থাকা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ১৫ শতাংশ।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment