সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ শিশুসহ ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত শিশুদের স্বজনদের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার কারণে এসব মৃত্যু হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ দাবি করছে মৃত ১০ শিশুর মধ্যে ৬ জন জন্ম সংক্রান্ত জটিলতায়, ২ জন অপুষ্টিজনিত সংক্রমণে, একজন নিউমোনিয়ায় ও অন্য একজন ঠান্ডাজনিত কারণে মারা গেছে। আর অপর ২২ জনের মৃত্যুকে স্বাভাবিক ঘটনা বলে দাবি করেছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।
মৃত শিশুরা হলো- সিলেটের গোয়াইনঘাটের সায়মা (দেড় বছর), জকিগঞ্জের দশগ্রামের আকাশ (৭ দিন), সিলেট নগরীর শেখঘাটের নিলুমার নবজাতক মেয়ে, শাহপরাণের আসমা ও সন্ধ্যা রাণীর নবজাতক মেয়ে, সুনামগঞ্জ সদরের তাজরিয়া (সাড়ে তিন বছর), মেহেদী (আড়াই মাস), ছাতকের শাফরাজ (৩ বছর), বিশ্বম্ভরপুরের নাদিনা (৬ মাস), হবিগঞ্জের ইয়াসমিন (৩ দিন)।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুছ সালাম সংবাদ প্রতিদিন২৪ অনলাইন ডটকমকে জানান, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সিলেটে বিভাগের মানুষের শেষ ভরসা। এখানে বেশিরভাগ রোগী মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি হয়ে থাকে। তাই প্রতিদিন গড়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন রোগী মারা যান। এর মধ্যে ২-৩ জন শিশু থাকে। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৩২ জন রোগী মারা গেছেন। এর মধ্যে গত সোমবার রাত ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ১০ শিশু মারা গেছে।
ডা. সালাম বলেন, অস্বাভাবিক হারে শিশু মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় এবং স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি চিকিৎসা বা সেবা প্রদানে কোনো অবহেলার প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
এ ঘটনায় মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ইসমাইল পাটোয়ারীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন শিশু বিভাগের বিভাগীর প্রধান ডা. মনজ্জির আলী ও আবাসিক চিকিৎসক রঞ্জন কুমার রায়।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment