নিজস্ব প্রতিবেদক,রাজশাহী: সম্পত্তির ভাগ নিয়ে বিরোধের জেরে রাজশাহী শহরে মধ্যরাতে নিজের বড় ভাই ও বোনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে শহরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন পরিবারের আরও চার সদস্য।
এলাকাবাসী রাতেই ছোট ভাইকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে বলে বোয়ালিয়া থানার এসআই তোবারক হোসেন জানান।
নিহতরা হলেন- সাদিকুল ইসলাম (৫৮) ও তার বোন আখতার জাহান কল্পনা (৪৫)।
সাদিকুলের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৫), ভাই মনিরুল ইসলাম (৫৫) এবং মনিরুলের দুই সন্তান নিয়ামতউল্লা (২২) ও উম্মে কুলসুমকে (২৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাদিকুলের ছোট ভাই তরিকুল ইসলামকেও (৪২) পুলিশ হেফাজতে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
নিহত সাদিকুলের ছেলে ইউসুফ আলী জানান, তার চাচা তরিকুল মধ্যরাতে বাড়ির সব ঘরের দরজা বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে ছুরি ও শাবল দিয়ে বারান্দায় ঘুমিয়ে থাকা সাদিকুলকে আঘাত করে।
এ সময় সাদিকুলের চিৎকারে বাড়ির অন্যরা জেগে ওঠে। মনিরুলের ছেলে নিয়ামতউল্লা কৌশলে বেরিয়ে এসে অন্যঘরের ছিটকিনি খুলে দেয়। এ সময় নিয়ামতকেও কুপিয়ে জখম করা হয় বলে ইউসুফ জানান।
“এরপর আমার ফুফু কল্পনা, মা জাহানারা বেগম ও চাচাতো বোন উম্মে কুলসুম ঘর থেকে বের হলে তাদের সবাইকে কুপিয়ে জখম করে চাচা (তরিকুল)। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাকে ধরে ফেলে এবং পিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দেয়।”
হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক সাদিকুল ও কল্পনাকে মৃত ঘোষণা করে বলে ইউসুফ জানান।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে এসআই তোবারক জানান, সাদিকুলদের বাবা আফসার উদ্দিন মারা গেলে মা সুফিয়া বেগমের কাছ থেকে তরিকুল ‘গোপনে বাড়িটি লিখিয়ে নেন’।
“সম্প্রতি এ কথা সবাই জেনে যায়। এরপর সম্পত্তি সবার মধ্যে সমান ভাগ-বাটোয়ারার জন্য আদালতে মামলা করেন সাদিকুল। এর জের ধরে তরিকুল এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পরিবারের অন্যরা জানিয়েছেন।”
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ
No comments:
Post a Comment