মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সঙ্গে শেষ দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেছে তার পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তারা দুটি মাইক্রোবাসে করে কারা ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। গাড়ি দুটি নম্বর যথাক্রমে ঢাকা মেট্রো চ ১৩-৭৯১৭ ও চ ১৩-৮৩৭৪। মোট ২৪ জন কারাফটকের সামনে এলেও ভেতরে প্রবেশ করেছেন ২১ জন। অবশ্য পরে বাকি তিন জনকেও ঢুকতে দেয়া হয়। এদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ১১ জন নারী ও দুটি ৮-১০ বছরের শিশু রয়েছে। এসময় আরো পাঁচ জনকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলেও কারা পরিবারের সদস্য নিশ্চিত না হওয়ায় ঢুকতে দেয়া হয়নি।
এর আগে পৌনে ৪টার দিকে কামারুজ্জামানের ছেলেন হাসান ইকবাল সংবাদ প্রতিদিন২৪ অনলাইন ডটকমকে জানান, তারা আলাদাভাবে ১০ থেকে ১৫ জন কারাগারে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, কামারুজ্জামানের ভাই কামরুল ইসলাম, শ্যালক রুম্মান, স্ত্রী নুরুন্নাহার, ছেলে হাসান ইমাম, মেয়ে আতিয়া নূরসহ আরো কয়েকজন আছেন। এছাড়া, এক ছেলে হাসান ইকরাম সুইডেনে মানবাধিকার বিষয়ে পড়ছেন এবং হাসান জামান মালয়েশিয়ায় টেলিকমিউনিকেশনে পড়াশোনা করে এখন সেখানেই চাকরি করছেন। এরা ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর দুইবার দেশে এলেও এখন আর আসবেন না।
এর আগে কামারুজ্জামানের আইনজীবী শিশির মনির জানিয়েছিলেন, মোবাইলের মাধ্যমে কামারুজ্জামানের পরিবারকে জানানো হয়েছে- বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে কারাগারে যাওয়ার জন্য।
এদিকে ইতোমধ্যে ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment