গত ১৫ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসর। তৃতীয় আসর থেকে প্রায় ৪০ কোটি টাকার মতো লাভের আশা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যাবতীয় সব খরচ বাদ দিয়ে তৃতীয় আসর থেকে ২৫ কোটি টাকা আয় করেছে বিসিবি। রোববার মিরপুর স্টেডিয়ামে বিপিএল নিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
যদিও তৃতীয় বিপিএল শুরুর আগে অবশ্য মোটা
টাকা আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল বিসিবি। টাইটেল স্পন্সর, মিডিয়া স্বত্ব,
টিকিট বিক্রি, মোবাইল স্কোরিং স্বত্ব বিক্রি এবং ফ্রাঞ্চাইজি ফির সৌজন্যে
বিপিএল ‘থ্রি’ থেকে বড় ধরনের আয়ের আশা করলেও বিপিএলকে সুশৃঙ্খল কাঠামোয়
নিতে গিয়ে বানিজ্যের বিষয়কে অতটা গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলে মনে করছেন বিসিবি
সভাপতি।
অপরদিকে বিপিএলের আগের দুই আসর মিলে ২০
কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বিসিবির। দুরন্ত রাজশাহী, খুলনা রয়েল বেঙ্গলস ও
চিটাগং কিংসের কাছে বোর্ডের বকেয়া রয়েছে এই বড় অঙ্কের টাকা। আর তাই বকেয়া
তুলে আনতে শিগগিরই পুরাতন এসব ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটার
চিন্তা-ভাবনা করছে বিসিবি।
রোববার সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে বিসিবি
সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে আমাদের পাওনা
আছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা
করব। তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজিরর কাছে আমাদের প্রায় ২০ কোটি টাকার মতো পাওনা
আছে। আর এবার বিপিএল তৃতীয় আসর থেকে প্রায় ২৫ কোটি টাকা আসছে আমাদের।’
বিপিএলের প্রথম দুটি আসরে অনেক সমস্যায় জর্জরিত ছিল বিসিবি। তাই তৃতীয় আসরকে প্রধান সমস্যামুক্ত করতে চেয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। সে কারণেই এবার টাকা নিয়ে অতটা চিন্তায় ছিল না বিসিবি। এ প্রসঙ্গে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা বিপিএলকে সুশৃঙ্খল করতে চেয়েছি। আয় এখানে বড় কোনো বিষয় ছিল না। পেছনের দুটি আসরকে ঘিরে যে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছিল, সেগুলোকে আমরা দূর করতে চেয়েছি। সবার চেষ্টায় এবার সে সমস্যাগুলো হয়নি।’
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment