আল্লাহ তাআলা মানুষের কল্যাণে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জীবন ব্যবস্থা হিসেবে নাজিল করেছেন কুরআনুল কারিম। এ কুরআনে রয়েছে, পৃথিবীর শুরু থেকে কিয়ামাত পর্যন্ত মানুষের বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনা। ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ অসংখ্য ঘটনা ও বিষয়াদি স্থান পেয়েছে। তাছাড়া মানুষের জীবন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তায় অনেক বিধি-নিষেধ নাজিল হয়েছে। বহু বিধি-নিষেধ নাজিল হওয়া সত্ত্বেও পাঁচটি জিনিসকে ইসলামের স্তম্ভ ঘোষণা দেয়ার মধ্যে রহস্য কি? সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো-
বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, ইসলামের স্তম্ভ পাঁচটি। ১. আল্লাহ এবং রাসুলের প্রতি বিশ্বাস; ২. নামাজ প্রতিষ্ঠা করা; ৩. জাকাত আদায় করা; ৪. হজ করা এবং ৫. রোজা পালন করা। এগুলো পাঁচ ভাগে সীমাবদ্ধ থাকার কারণ হলো-
১. মানুষ আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের বিশ্বাস মৌখিকভাবে করবে, আর মৌখিক বিশ্বাসের প্রতীকই হলো তাওহিদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান।
২. তারপরই মানুষ আল্লাহ এবং রাসুলের আনুগত্যের বহিপ্রকাশ ঘটাবে শারীরিক কর্মের মাধ্যমে, আর তারই প্রতীক হলো নামাজ।
৩-৪. কর্ম সম্পাদনে অর্থের বিকল্প নেই। অর্থের বিশুদ্ধতা ও ভারসাম্য রক্ষা করতেই আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে তাঁর আনুগত্য প্রকাশ করা। আর তা হলো জাকাত আদায় এবং হজ পালনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা।
৫. মানুষ আল্লাহর আনুগত্য প্রমাণ করার জন্য তাঁর বিধি-নিষেধ স্বরূপ নিদ্দিষ্ট কর্ম থেকে বিরত থাকতে হবে। আর তারই প্রতীক হলো রোজা।
বান্দা কেবলমাত্র এ পাঁচটি জিনিসের মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলার আনুগত্য প্রকাশ করতে পারে। এ জন্যই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ পাঁচটি জিনিসকে ইসলামের স্তম্ভ হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।
পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্যে অটল এবং অবিচল থাকতে কর্মের মাধ্যমে ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভকে যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া
নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment