চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাজারে নকিয়া ব্র্যান্ডের কয়েকটি মডেলের স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটারের দেখা মিলতে পারে। ফিনল্যান্ডের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এইচএমডি গ্লোবাল তৈরি করছে নকিয়া ব্র্যান্ডের পণ্য।
চীনা সংবাদমাধ্যম দ্য পেপারের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, নকিয়া চায়নার প্রেসিডেন্ট মাইক ওয়াং তিন-চারটি নকিয়া ব্র্যান্ডের ডিভাইসের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে এ পণ্য বাজারে আসবে। এর মধ্যে স্মার্টফোন ও ট্যাব রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলেন, নকিয়া নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একসময় বিশ্বের বৃহত্তম ব্র্যান্ডের অন্যতম ছিল নকিয়া। স্মার্টফোনের যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারায় অ্যাপল-স্যামসাংয়ের কাছে রাজ্য খুইয়েছে ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৪ সালে মাইক্রোসফটের কাছে ফোন ব্যবসা বিক্রি করে দেয় নকিয়া। সম্প্রতি এইচএমডি গ্লোবালের কাছে ব্র্যান্ড লাইসেন্স ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে, এ বছরেই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত নকিয়া স্মার্টফোন ও ট্যাব দিয়ে আবার নকিয়া ব্র্যান্ডটিকে পুনরুজ্জীবিত করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
নকিয়া ও মাইক্রোসফটের চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৬ সালের শেষ প্রান্তিকের আগ পর্যন্ত নকিয়া নামে কোনো স্মার্টফোন তৈরির সুযোগ ছিল না।
এর আগে নকিয়া ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন যেসব কারখানায় তৈরি হতো, এখন সেখানে আর তৈরি হবে না। বরং এইচএমডি গ্লোবাল তাদের কারখানায় তৈরি করবে নকিয়া ফোন। আগামী ১০ বছরের জন্য নকিয়া ব্র্যান্ড লাইসেন্স কিনেছে এইচএমডি।
গত জুলাই মাস থেকে নকিয়া ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ঘিরে প্রযুক্তি-বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলোতে নানা গুঞ্জন রয়েছে। বলা হচ্ছে, ৫ দশমিক ২ ও সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি মাপের দুটি মডেলের স্মার্টফোন আনবে নকিয়া। এতে কিউএইচডি ডিসপ্লে ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৭ এজের মতো এই ফোন হবে পানি ও ধুলা প্রতিরোধী।
সম্প্রতি নকিয়া ফোনকে বাজারে আনতে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মকর্তা পেক্কা রানটালাকে প্রধান বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে এইচএমডি।
একসময় মোবাইল ফোন হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে নকিয়া ব্র্যান্ডকে বেঞ্চমার্ক হিসেবে তুলনা করা হতো। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment