মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরের শিবচরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও, দাম কম থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে সাধারণ কৃষকদের। ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্র ঋন নিয়ে পিঁয়াজের চাষ করলেও সেই পিঁয়াজ বিক্রি করে ঋণের টাকা পরিশোধতো দূরের কথা নিজেদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে কৃষকদের। উপযুক্ত দাম না পেয়ে পেঁয়াজ চাষের প্রতি অনিহা প্রকাশ করছে চাষীরা।
কৃষকরা জানান, পেয়াজের ফলন ভালো হয়েছে তবে পেঁয়াজ চাষে বীজ, সার, নিরানী, কৃষক মজুরীসহ বিঘাপ্রতি প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। আর সেই পেঁয়াজ ঘরে উঠানোর পর বিক্রি করতে পারছে না ২৫হাজার টাকাতেও। এই অবস্থায় বিঘাপ্রতি প্রায় ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
তারা জানান, পেঁয়াজ চাষ করে যদি লোকসানের মুখ দেখতে হয় তাহলে পরিশ্রম করে এই ফসল চাষে অনিহা প্রকাশ করেন কৃষকরা। সাধারণ কৃষকদের দাবি পেঁয়াজ চাষে যেই খরচ সেই অনুপাতে পেয়াজের দাম দুইগুন হলে লোকসান থেকে মুক্তি পাবে খেটে খাওয়া সাধারণ কৃষকরা। দাম যদি না বৃদ্ধি করা হয় তাহলে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে বছরের পর বছর লোকসানের মুখই দেখতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শিবচর উপজেলায় এ বছর প্রায় ৩হাজার পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে পেয়াজের আবাদের লক্ষ্যেমাত্রা ধরা হয়েছে। আর অর্জিত হয়েছে প্রায় ৩হাজার হেক্টর। গতবছরের তুলনায় চলতি বছর পেয়াজের ফলন খুবই ভালো হয়েছে। পেঁয়াজ চাষে যেই খরচ সেই অনুপাতে পেয়াজের দাম দুইগুন করলে লোকসান থেকে রেহাই পাবে কৃষক। আর লাভবান হলে পেঁয়াজ চাষে আরো উৎসাহ বাড়বে কৃষকদের।
শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপ রায় জানান, চলতি বছর পেয়াজের ফলন ভালো হলেও কৃষকরা দাম একটু কম। তবে কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কৃষকদের প্রতি একটা পরামর্শ হলো তারা যাতে যেই পেয়াজগুলো সংরক্ষণ করা যায় তা সংরক্ষণ করে রাখে। ২/৩ মাস পর যখন পেয়াজের দাম একটু দাম বৃদ্ধি পাবে তখন বিক্রি করলে এই ঘাটতি কিছুটা কমবে।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment