ষাটের দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম নায়ক খলিলউল্লাহ খান খলিল আর নেই। রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন (ইন্না… রাজিউন)। ৮০ বছর বয়সি এই অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস, লিভার ও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে ২০১১ সালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হয়। মৃত্যুর সময় তিনি তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গিয়েছেন। এছাড়া তার মৃত্যুর আগে তার আরও দুই ছেলে মারা গিয়েছে।
চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্যে ২০১২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা লাভ করেন খলিল। ৫৪ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি প্রায় আট শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৫৯ সালে জহির রায়হান পরিচালিত ‘সোনার কাজল’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের অঙ্গনে প্রবেশ করেন।
তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ‘সোনার কাজল’, ‘আলোর মিছিল’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘কাজল’, ‘জংলী ফুল‘, ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘বেগানা’, ‘সমাপ্তি’, ‘তানসেন’, ‘নদের চাঁদ’, ‘মাটির ঘর’, ‘পাগলা রাজা’, ‘অলংকার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘কন্যাবদল’, ‘সঙ্গম’, ‘সোনার চেয়ে দামি’, ‘বদলা’, ‘মেঘের পর মেঘ’, ‘আয়না’, ‘মধুমতি’, ‘ওয়াদা’, ‘বিনি সুতোর মালা’, ‘মাটির পুতুল’, ‘গুণ্ডা’, ‘বউ কথা কও’, ‘দিদার’, ‘আওয়াজ’, ‘নবাব’, ‘যৌতুক’ উল্লেখযোগ্য। বাংলার পাশাপাশি তিনি উর্দু চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘ক্যায়সে কহু’, ‘পুনম কি রাত’, ‘উলঝন’ প্রভৃতি।
অভিনয়ের পাশাপাশি ১৯৬৫ সালে ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’ ছবির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন খলিল। এছাড়া ‘সিপাহীও ‘এই ঘর এই সংসার’ নামে দুটি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেছেন। বড় পর্দার এই অভিনেতা বেশ কয়েকটি টিভি নাটকেও অভিনয় করেছেন। শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ধারাবাহিক ‘সংশপ্তক’ এ মিয়ার বেটা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক নন্দিত হন। খলিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment