বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গুলশানে বসে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু ‘গুলশান ষড়যন্ত্র’ করে কোনো লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল হলে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গুলশানে বসে বসে ষড়যন্ত্র আর বিদেশিদের টিপস্ নিয়ে ক্ষমতায় বসার পাঁয়তারা করে কোনো লাভ হবে না। কারণ, জনগণের সমর্থন না থাকলে ক্ষমতায় আসা যায় না।
কামরুল বলেন, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করি। জনগণের কাছে যাই, তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনি, বুঝি এবং সমাধান করি। এ কারণেই জনগণের সমর্থনে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হলে দেশের গণতন্ত্রের কবর রচনা হতো, সেনাবাহিনী দেশ শাসন করতো। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আজ বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দুঃখ হয়, দেশের সাবেক বিরোধীদল বিএনপি দেশের উন্নয়নের কথা না ভেবে রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের বৈঠক প্রসঙ্গে কামরুল বলেন, গণমাধ্যমগুলোতে আমরা তো দেখেছি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল এবং চেয়ারপার্সনের প্রেসসচিব মারুফ কামালের বক্তব্য পাল্টা-পাল্টি হয়ে গেছে। কারা এই ষড়যন্ত্রের মূল নায়ক, তা গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা ঠিকই খুঁজে বের করবে।
আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ উপকমিটির সহসম্পাদক এম এ করিম, সংগঠনের সহসভাপতি এ টি এম শামসুজ্জামান, এশিয়ান টিভির পরিচালক হারুন-অর রশিদ, বিকেএসপি’র পরিচালক শেখ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment