রাসূল (স.) এর নামে হালের নিকৃষ্ট কটূক্তিকারী, কট্টর ইসলামবিদ্বেষী মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীর উপযুক্ত বিচার চেয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, ‘কারাগারে পতিত লতিফ সিদ্দিকীর মতো জঘন্য অপরাধী এখনো কীভাবে সংসদ সদস্য হিসেবে বহাল থাকতে পারে, তা দেশবাসীর কাছে একটি বিরাট প্রশ্ন। এছাড়া কারাগারে তাকে জামাই আদরে রাখা হচ্ছে। এটাও বা কী করে সম্ভব? এসব কারণে লতিফের উপযুক্ত বিচার হওয়ার ব্যাপারে আমরা সন্দিহান। কিন্তু আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, লতিফের বিচারে কোনো ধরনের গড়িমসি করলে আমরা রাজপথে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।’
তিনি বলেন, ‘কট্টর ধর্মবিদ্বেষীদের শাস্তিস্বরূপ এই ধরনের বিধান যেহেতু এখন সংবিধানে নেই, সেহেতু সংসদে এই আইনের বিধান পাস করে লতিফের বিচার কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় নিরাপস বাংলার তৌহিদি জনতা এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না। প্রয়োজনে তারা যেকোনো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত লতিফের মৃত্যুদ- নিশ্চিত করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তৌহিদি জনতা ক্ষান্ত হবে না।’
বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে যদি সর্বোচ্চ সাজার বিধান কার্যকর করার দৃষ্টান্ত তৈরি হয়, তাহলে আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে তসলিমা-থাবা বাবা-লতিফের মতো ঘৃণিত কুলাঙ্গার ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক-মুরতাদরা মাথাচাড়া দিতে সাহস করবে না। কিন্তু এই ধরনের সর্বোচ্চ সাজা না থাকায় এদের মতো বেয়াদব নাস্তিক-মুরতাদরা প্রকাশ্যে ইসলামের বিরোধিতা এবং আল্লাহ ও রাসূল (স.)-এর অবমাননা করতে দ্বিধা করছে না।’
শাহ আহমদ শফী আরো বলেন, ‘লতিফের মতো জঘন্য অভিশপ্ত পাপীকে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করলে তার উপযুক্ত সাজা হবে না। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমেই তার মতো নিকৃষ্ট বেয়াদব ও জাহান্নামীর উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অতীতে অনেক জঘন্য অপরাধী বিচার থেকে রেহাই পেলেও লতিফের ব্যাপারে আমরা সেটা হতে দেবো না। লতিফকে দিয়ে নাটক সাজিয়ে কোনো ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করলে তার পরিণতি কখনোই ভালো হবে না। তাই আমরা সরকারকে দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই যে, তৌহিদি জনতা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিতে চায় না। সংসদে মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস করে লতিফ সিদ্দিকীর বিচার করতে হবে। অন্যথায় ক্ষুব্ধ তৌহিদি জনতার আক্রোশ থেকে লতিফকে বাঁচানোর কোনো সুযোগ থাকবে না।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment