মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ২০তম এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে মেলা আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে আয়োজক রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, জামার্নিসহ ১৪টি দেশের ৪৮টি প্রতিষ্ঠান মেলায় নিজেদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করবে।
নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়াও বেসরকারি সিকিউরিটি ফার্ম দায়িত্বে থাকবে। এ ছাড়াও থাকবে বিজিবি ওয়াচ টাওয়ার, মেটাল আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও আন্ডার ভেহিকল মিরর। ৮০টি সিসি ক্যামেরায় গোটা মেলা অঙ্গন মনিটর করা হবে।
এ উপলক্ষে বুধবার বাণিজ্য মেলা মাঠে অস্থায়ী সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বাণিজ্য মেলার সার্বিক আয়োজন নিয়ে ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান সুভাশীষ বসু প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের মেলায় ১৩ লাখ ৭৩ হাজার বর্গফুট আয়তনে দেশি-বিদেশি ৫১৬টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন থাকছে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা ২৯টি সংরক্ষিত স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে। প্রবেশমূল্য ধরা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৩০ এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য বিশ টাকা। ভিআইপিদের আসা-যাওয়ার জন্য পৃথক গেট রাখা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৮০ হাজার দর্শনার্থী মেলায় যাবেন বলে আশা আয়োজকদের।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নামে একটি দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া মেলা অঙ্গনে সুন্দরবনের আদলে ইকোপার্ক ও দুটি শিশুপার্ক তৈরি করা হয়েছে।
এবারের মেলায় ভালো রফতানি আদেশ পাওয়া যাবে বলে সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment