বিদায় ২০১৪ ।। স্বাগত ২০১৫ সাল !!!!! - SongbadProtidin24Online.com

সর্বশেষ সংবাদ

SongbadProtidin24Online.com

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Thursday, January 1, 2015

বিদায় ২০১৪ ।। স্বাগত ২০১৫ সাল !!!!!



দিনপঞ্জিকার শেষ পাতাটি উল্টে গেলো। জীর্ণ ঝরা পল্লবের মতো সরল রৈখিক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে খসে পড়লো ২০১৪ সাল। বহু সুখ, পাওয়া-না পাওয়ার দোলাচল ঠাঁই নিল স্মৃতির পাতায়। শুরু হলো নতুন বছর। হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০১৫।

মধ্যরাতে নতুন এ বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসবের বাঁশি বেজে উঠলো সবার প্রাণে। শুরু হলো নতুন প্রত্যাশার বছর, কিন্তু যে বছরটি হারিয়ে গেল জীবন থেকে, ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে, তার সবই কি হারিয়ে যাবে? মুছে যাবে সব? না, সবকিছু মুঝে যায় না। ঘটনাবহুল ২০১৪ এর ঘটনার রেশ টেনেই মানুষ এগিয়ে যাবে ২০১৫ সালের নতুন দিনে।

বিগত দিনের সব জরা পেছনে ফেলে নব নব আশা আর স্বপ্ন সঙ্গী করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে বছরটিকে বরণ করে নিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে পুরোপুরি পরাজিত করে, রুখে দিয়ে এ বছর এগিয়ে যাওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ নেবে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার শপথ নেবে।

বলা বাহুল্য, সদ্য গত হওয়া বছরের শেষ দিনেই হরতাল দিয়েছে জামায়াত। আবার নতুন বছরের শুরুর দিনেও হরতালের ডাক দিয়েছে দলটি। এমন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা অস্থিরতার মধ্যেই শুরু হয়েছে নতুন বছর।

অনেক অনিশ্চয়তার বেড়াজাল ছিন্ন করে বিদায়ী এই বছরের পুরোটা সময়ই আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের ক্ষমতাগ্রহণ।

২০১৪ সাল শুরু হয়েছিল ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের খবর দিয়ে;  তবে এ নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আওয়ামী লীগের মতে তা হয়েছিলো সাংবাদিধানিকভাবে। আর বছর শেষে সবচেয়ে আলোচিত খবর ছিল দুর্নীতিতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ঘটনা এবং শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনিতে গভীর নলকূপে শিশু জিহাদের মৃত্যু নিয়ে। ছোট্ট এ শিশুর করুণ মৃত্যু জাতীয় জীবনে ব্যাপক নাড়া দিয়েছে। এমন হাজারো ঘটনা-দুর্ঘটনার সাক্ষী ২০১৪।

জানুয়ারির নির্বাচনী অস্থিরতা কাটতে-না কাটতেই ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলনরত শতাধিক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ও গুলি করে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ওই ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক সব বিশ্ববিদ্যালয়ে। সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর ওই হামলারই ধারাবাহিকতা বজায় রাখে পুলিশ।

মাসের মাঝপথ ১৫ ফেব্রয়ারি আল-কায়েদা প্রধান আয়ামান আল-জাওয়াহিরি ভিডিওবার্তায় বাংলাদেশে জিহাদের ঘোষণা দিলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যদিও অনুসন্ধান চালিয়ে ওই ঘোষণার সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এছাড়া ওই মাসে অশোভন আচরণের দায়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল-হাসানকে ৩ ম্যাচে নিষিদ্ধ করার ঘটনা বিশ্বক্রিকেট অঙ্গনে সাড়া ফেলে দেয়।

১৭ মার্চ মাসের রাজনৈতিক মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, আবদুস সালামকে কারাগারে পাঠালে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের উত্তেজনা শুরু হয়। দেশব্যাপী বিক্ষোভ-কর্মসূচি পালন করে পরিস্থিতি অস্থির করে তোলে বিরোধীপক্ষ। এছাড়া মাসটিতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করায় আন্দোলনে নামে তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎবন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ বামপন্থী বেশ কয়েকটি সংগঠন।

১ মে নারায়ণগঞ্জ কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৬ জনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে উঠলে দেশজুড়ে সমালোচনা ঝড় ওঠে। তোপের মুখে পড়ে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুরো র্যাব বাহিনী। ঘটনায় তাদের আটকসহ ভারতে আটক করা হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনকে।

একই মাসের ২০ মে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হককে পুড়িয়ে মারার লোমহর্ষক ঘটনা বিবেকবান সবার মাঝে সাড়া ফেলে। ঘটনায় বিএনপি নেতাদের দায়ী করে মামলা দায়ের করা হলেও প্রকৃত অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায়। এরই মাঝে সংঘটিত হয় গোপীবাগের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড।

মাসের ১৬ মে পার্শ্ববর্তী ভারতে বিজেপির বিপুল ব্যবধানে জয়লাভের ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনে।

সমালোচনা থাকলেও বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) দুর্নীতির তালিকা প্রকাশ সরকারের ব্যর্থতার সব পাল্লাকেই ছাড়িয়ে যায়। বিশ্বের সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ১৪তম অবস্থানে আসে বাংলাদেশ। অথচ একবছর আগে সেটা ১৬তম স্থানে ছিল। তবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে নাম আসে বাংলাদেশের। টিআইবির ওই তালিকাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিলেও তাতে বিব্রত হয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার।

এছাড়া ২০১৪ সালে চাল, ডাল এবং তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যে হারে বেড়েছে তাতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশে খাদ্যশস্যের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। তবে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী জোরদার করার ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ায় মঙ্গা দূরীভূত হয়েছে, যা বর্তমান সরকারের অন্যতম অর্জন।

তবে এতকিছুর পর ইন্টার পার্লামেন্ট ইউনিয়ন (আইপিইউ) ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্ট অ্যাসোসিয়েশনে সাবের হোসেন চৌধুরী ও স্পিকার ড. শিরিন শারমীনের সভাপতি নির্বাচন বাংলদেশকে বিশ্বের দরবারে এগিয়ে নিয়ে গেছে। এছাড়া তথ্য-প্রযুক্তি উন্নয়ন, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় স্বাধীনতা, সড়ক ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার প্রদান, দারিদ্র্য দূরীকরণ, খেলাধুলাসহ বেশকিছু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য হারে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

সব মিলিয়ে বিদায়ী বছরটি ছিল বৈচিত্র্যময়। নতুন বছরে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির যেনো সমন্বয় হয় এমন প্রত্যাশা দেশের মানুষের।


সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here