ক্লাসরুমে হিজাবের অনুমতি জার্মান আদালতের !!!!! - SongbadProtidin24Online.com

সর্বশেষ সংবাদ

SongbadProtidin24Online.com

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Monday, March 16, 2015

ক্লাসরুমে হিজাবের অনুমতি জার্মান আদালতের !!!!!


বর্তমানে জার্মানিতে মুসলমানের সংখ্যা ৩৫ থেকে ৪০ লাখ। এ সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৪ শতাংশ। সংখ্যালঘু ধর্মের তালিকায় ইসলামের অবস্থান প্রথম। দেশটিতে সুদৃশ্য মসজিদ আছে প্রায় ৭৭টি। এছাড়া নামাজ পড়ার মতো আরও আড়াই হাজার জায়গা আছে, যেগুলোকে ছোট-খাটো মসজিদ হিসেবে গণ্য করা যায়। সব মিলিয়ে বলা যায়, ধর্মেকর্মে ভালোই আছেন জার্মানের মুসলমানরা। মুসলমানদের এই ভালো থাকাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল আদালতের একটি রায়। যে রায়টি এসেছে ১৩ মার্চ শুক্রবার।

রায়ে স্কুলে মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরিধানের নিষেধাজ্ঞা থেকে সরে এসেছে আদালত। জার্মানির সর্বোচ্চ আদালত থেকে বহুল প্রতিক্ষীত এই রায়টি এসেছে। শুক্রবার জারি করা এক রুলিংয়ে আদালত বলেছে, স্কুলের কার্যক্রমে কোনো বাধা সৃষ্টি না হলে মুসলিম শিক্ষিকারা মাথায় স্কার্ফ পরতে পারবেন।

২০০৩ সালে হিজাবের ওপর স্কুল কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা জারির অধিকার দিয়ে দেশটির সাংবিধানিক এই আদালত যে রায় দিয়েছিল তা পুনর্বিবেচনা করে শুক্রবারের রুলিংয়ে বলেছে, এখন থেকে সরকারি স্কুলের মুসলিম শিক্ষিকারা হিজাব নিয়ে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবেন না। স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনায় ‘যথেষ্ট বোধগম্য সমস্যা’ বা ‘রাষ্ট্রীয় নিরপেক্ষতা’ খর্ব না হলে হিজাব নিয়ে কোনা ধরনের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্য হবে না।

আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২০০৩ সাল থেকে জার্মানির ১৬টি আঞ্চলিক প্রদেশের অনেকগুলোতে মুসলিম শিক্ষিকাদের হিজাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তখন আদালত বলেছিল, এ বিষয়ে আইন করা না করা প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। কিন্তু দুই মুসলিম মহিলার আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবারের রুলিংয়ে আদালত বলেছে, এ বিষয়ে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাখা জার্মানিতে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে।

সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব মুসলিমস ইন জার্মানি’র সেক্রেটারি নুরহার সয়কান আদালতের এই আদেশকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, সাধারণভাবে হিজাবের অনুমোদন না দিলেও রায়ে ইতিবাচক বার্তা রয়েছে। এদিকে, এ রায়কে ঘিরে আবারো ‘ইউরোপের ইসলামীকরণ’ বিতর্কে হাওয়া লাগতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

২০০৩ সালে জার্মানির সাংবিধানিক আদালতের রায় অনুযায়ী স্কুলে শিক্ষিকাদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার আদেশের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করে চলেছেন ফেরেস্তা লুডিন নামের এক মহিলা। এই রায়ের ফলে তিনি এখন খুশি।

লুডিনের মতে, হিজাব বা স্কার্ফ পরা শিক্ষিকাদের কারণে শিশুদের মনে বিরূপ প্রভাব পড়ে, এমন কোনো তথ্যপ্রমাণ কারো হাতে নেই। উল্টো হিজাবের প্রতি নিষেধাজ্ঞার কারণে শিক্ষকরাই নন, অনেক মুসলিম নারী হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যা কোনো সভ্য দেশের কল্পনাতীত। আদালত এটাকেই ভিত্তি ধরে রায় প্রদান করেছে।

উল্লেখ্য যে, ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো জার্মান স্কুলে ইসলাম শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থ রাইন ওয়েস্টাফালিয়া এই ক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করলো বলা যায়। স্কুলগুলোতে দিন দিন মুসলমান ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে।  তাই প্রাথমিক স্কুলগুলোতে মুসলমান বাচ্চাদের জন্য নতুন ইসলাম শিক্ষার একটি বই ছাপানো হয়েছে। ইসলামের নানা শিক্ষা ও নিয়মাবলী শেখানো হবে এই বইয়ের মাধ্যমে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য এসব বইয়ে কঠিন কোনো বিষয় নিয়ে আসা হয়নি। দৈনন্দিন জীবনের নানা ঘটনার মাধ্যমে সহজ বিষয়গুলো তুলে আনা হয়েছে।

সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here