সেশনজট দূর করতে অবরোধ-হরতালে শুধু শুক্র ও শনিবার নয়, সপ্তাহের
অন্যান্য দিনেও নির্ধারিত ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে হরতাল-অবরোধ বন্ধের দাবিতে আগামী ১৪ মার্চ জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত ২ হাজার ১৫৪টি কলেজে একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি
পালন করা হবে। গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে
কেন্দ্রীয়ভাবে ও কলেজগুলো অভিন্ন ব্যানারে একই সময়ে এ কর্মসূচি পালন করা
হবে।
রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আসলাম ভূঁইয়া ও অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নোমান উর রশীদ।
হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘গত দুই মাস ধরে চলা অবরোধ ও হরতালে কারণে আমরা তিনটি পরীক্ষা সঠিক সময়ে নিতে পারিনি। তবে এ মাসের শেষ থেকে ওই পরীক্ষাগুলো শুরু হবে।’
তিনি জানান, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া স্নাতক (পাস) পরীক্ষা শুরু হবে ২৮ মার্চ থেকে। ৩০ মে পর্যন্ত চলা এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন প্রায় ৫ লাখ পরীক্ষার্থী। ফেব্রুয়ারির শেষে শুরু হতে যাওয়া সম্মান প্রথম বর্ষ চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হবে ৩০ এপ্রিল, যাতে অংশ নেবেন ১ লাখ ৮০ হাজার পরীক্ষার্থী এবং ১৫ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া সম্মান দ্বিতীয় বর্ষ চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হবে ৭ এপ্রিল থেকে, যেখানে অংশ নেবেন ২ লাখ ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী।
তিনি বলেন, ‘আমরা সূচি হওয়া পরীক্ষাগুলো দিনের দ্বিতীয়ভাগে অর্থাৎ বিকেলে নেবো। এর আগে সকালে নিয়মিত ক্লাস চলবে। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজটমুক্ত করতে জাতি ও শিক্ষার্থীদের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। সেজন্য শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য দেশের সব রাজনৈতিক দলের কাছে আমাদের আহ্বান, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয় এমন কোনো কর্মসূচি যেন তারা না দেন।’
দুই মাসের ক্ষতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ২০১৮ সালের মধ্যভাগ পর্যন্ত সকল পরীক্ষার সময়সূচির ক্রাস প্রোগ্রাম ঘোষণা করেছি। এতে কিছু কিছু গ্যাপ রাখা হয়েছিল। ফলে এখনো আমাদের তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। তবে এ ধরনের কর্মসূচি চলতে থাকলে, আমরা আবারো সেশনজটে পড়বো।’
১৪ মার্চের কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা ওইদিন সকাল ১১টা থেকে ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত নিঃশব্দ মানববন্ধনে অংশ নেবো। এ কর্মসূচির ব্যানারের বক্তব্য হবে- ‘শঙ্কামুক্ত জীবন চাই/ নিরাপদে ক্লাস করতে পরীক্ষা দিতে চাই/ শিক্ষা ধ্বংসকারী সহিংসতা বন্ধ কর’। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরর মূল ক্যাম্পাসের সঙ্গে সারাদেশের সব কলেজে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হবে।’
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আসলাম ভূঁইয়া ও অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নোমান উর রশীদ।
হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘গত দুই মাস ধরে চলা অবরোধ ও হরতালে কারণে আমরা তিনটি পরীক্ষা সঠিক সময়ে নিতে পারিনি। তবে এ মাসের শেষ থেকে ওই পরীক্ষাগুলো শুরু হবে।’
তিনি জানান, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া স্নাতক (পাস) পরীক্ষা শুরু হবে ২৮ মার্চ থেকে। ৩০ মে পর্যন্ত চলা এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন প্রায় ৫ লাখ পরীক্ষার্থী। ফেব্রুয়ারির শেষে শুরু হতে যাওয়া সম্মান প্রথম বর্ষ চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হবে ৩০ এপ্রিল, যাতে অংশ নেবেন ১ লাখ ৮০ হাজার পরীক্ষার্থী এবং ১৫ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া সম্মান দ্বিতীয় বর্ষ চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হবে ৭ এপ্রিল থেকে, যেখানে অংশ নেবেন ২ লাখ ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী।
তিনি বলেন, ‘আমরা সূচি হওয়া পরীক্ষাগুলো দিনের দ্বিতীয়ভাগে অর্থাৎ বিকেলে নেবো। এর আগে সকালে নিয়মিত ক্লাস চলবে। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজটমুক্ত করতে জাতি ও শিক্ষার্থীদের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। সেজন্য শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য দেশের সব রাজনৈতিক দলের কাছে আমাদের আহ্বান, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয় এমন কোনো কর্মসূচি যেন তারা না দেন।’
দুই মাসের ক্ষতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ২০১৮ সালের মধ্যভাগ পর্যন্ত সকল পরীক্ষার সময়সূচির ক্রাস প্রোগ্রাম ঘোষণা করেছি। এতে কিছু কিছু গ্যাপ রাখা হয়েছিল। ফলে এখনো আমাদের তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। তবে এ ধরনের কর্মসূচি চলতে থাকলে, আমরা আবারো সেশনজটে পড়বো।’
১৪ মার্চের কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা ওইদিন সকাল ১১টা থেকে ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত নিঃশব্দ মানববন্ধনে অংশ নেবো। এ কর্মসূচির ব্যানারের বক্তব্য হবে- ‘শঙ্কামুক্ত জীবন চাই/ নিরাপদে ক্লাস করতে পরীক্ষা দিতে চাই/ শিক্ষা ধ্বংসকারী সহিংসতা বন্ধ কর’। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরর মূল ক্যাম্পাসের সঙ্গে সারাদেশের সব কলেজে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হবে।’
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment