রাজধানীর মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৮টি ২০তলা ভবনে ৬০৮টি নতুন ফ্ল্যাট নির্মাণের সিন্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজধানীতে বসবাসকারী সরকারি চাকরিজীবীদের আবাসন সমস্যা নিরসণে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৫ কোটি টাকা। এর আওতায় ৫টি ২০ তলা ভবনে ৩৮০টি এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। অন্যদিকে, তিনটি ২০ তলা ভবনে ১২৫০ বর্গফুটের ২২৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।
জুলাই ২০১৫ সাল থেকে জুন ২০১৯ মেয়াদে ফ্ল্যাটগুলো নির্মাণ করবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদফতর।
এ প্রসঙ্গে গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূঁইয়া সংবাদ প্রতিদিন২৪ অনলাইন ডটকমকে বলেন, মিরপুরের পাইকপাড়ায় চার একর জমিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৮টি ২০ তলা ভবনে ৬০৮টি নতুন ফ্ল্যাট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফ্ল্যাটগুলো হবে এক হাজার থেকে ১২শ’ ৫০ বর্গফুটের। উপ-সচিব ও যুগ্মসচিব পর্যায়ে ফ্ল্যাটগুলো বিতরণ করা হবে।
নানা কারণে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষে চাহিদা অনুযায়ী আবাসন সমস্যা সমাধান করা যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের অধিকাংশ সময় বেশি ভাড়ায় ব্যক্তি মালিকানাধীন নিম্নমানের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতে হচ্ছে। এতে সরকারি কর্মকর্তাদের অর্থনৈতিক ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, যা তাদের কর্মদক্ষতাকে নষ্ট করছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পাইকপাড়া সরকারি কলোনির মধ্যে চার একর খালি জমি রয়েছে। যেখানে অধিক সংখ্যক আবাসিক ভবন নির্মাণের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যা কিছুটা সমাধান করা সম্ভব। সে লক্ষ্যেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য: সরকারি চাকরিজীবীদের প্রকট আবাসিক সমস্যা লাঘবের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা। জমির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি। আবাসিক সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে উন্নত সেবা প্রাপ্তি।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রম: প্রকল্প এলাকায় ৩ হাজার ৩৫০ দশমিক ৬০ বর্গমিটার অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ করা হবে। ৪৭৮ রানিং মিটার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে। ৮ হাজার ৩৩৫ মিটার ভূমি উন্নয়ন কাজ করা হবে। ৩৮২ রানিং মিটার ড্রেনসহ ৩০৯ বর্গমিটার কমিউনিটি স্পেস থাকবে। আধুনিক সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের জন্য।
পানি সরবরাহ, বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থাও থাকবে। ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা যেন অফিস থেকে ফ্ল্যাটে নিরাপদে ফিরতে পারেন, সেই লক্ষ্যে পাঁচটি আধুনিক পরিবহন থাকবে।
১২৫০ বর্গফুটের ২২৮টি ফ্ল্যাট দেওয়া হবে গ্রেড-৫ ক্যাটাগরির সরকারি কর্মকর্তাদের। অন্যদিকে গ্রেড-৬ ও গ্রেড-৭ ক্যাটাগরির কর্মচারীরা পাবেন ৩৮০টি এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment