২০১৯ সালের মধ্যে ৩০ লাখ ব্যক্তিকে করের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জরিপ চলমান থাকবে।
একই সাথে ইতোমধ্যে জরিপে পাওয়া নতুন করদাতাকে (ব্যক্তি, বাড়িমালিক, ব্যবসায়ী) ২০১৫-১৬ অর্থবছরে করের আওতায় আনারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিতে বাজেটে এসব উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পোশাক, মোবাইল, তামাক, ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতে বড় বড় ধনী সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত আয়কর দিতে সক্ষম ব্যক্তি তৈরি হচ্ছে। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ১২ লাখ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান আয়কর দেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, এনবিআর ইতোমধ্যে সারাদেশে জরিপ চালিয়ে অনেক সচ্ছল করদাতার সন্ধান পেয়েছে। এদের সবার ওপর এ বছর আয়কর ধার্য করা হবে।
এ জরিপ ও করদাতা বৃদ্ধির কার্যক্রম আরও জোরালো করা হবে। একই সাথে বর্তমান সরকারের শেষ মেয়াদ ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে ৩০ লাখ সক্রিয় করদাতা খুঁজে বের করা হবে।
উৎসে আয়কর থেকে আয়করের সিংহভাগ আদায় হয়। উৎসে আয়কর কর্তনের জন্য একটি স্বতন্ত্র কর অঞ্চল করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
সম্পদ কর (সারচার্জ) সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ অর্থবছর বহাল থাকলেও আগামী বছর থেকে সম্পদ কর বাড়ানো হবে।
উল্লেখ্য; জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সারাদেশে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিপ চালিয়ে ইতোমধ্যে প্রায় ৫ লাখ নতুন করদাতা শনাক্ত করেছে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment