২৪ জুন। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসির ২৮ তম জন্মদিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন।
মেসির বাবা হোর্হে হোরাসিও মেসি ইস্পাতের কারখানায় কাজ করতেন। আর মা সেলিয়া মারিয়া কুচ্চিত্তিনি ছিলেন খণ্ডকালীন পরিচ্ছন্নতা কর্মী।
মেসির পরিবারের আদি নিবাস ইতালির আকোনা শহরে। চার ভাই-বোনের মধ্যে
মেসির বড় দুই ভাইয়ের নাম রদ্রিগো ও মাতিয়াস এবং ছোট বোনের নাম মারিয়া সল।
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে মেসি স্থানীয় ক্লাব গ্রান্দোলির হয়ে ফুটবল খেলা
শুরু করেন। মেসির প্রথম কোচ তার বাবা হোর্হে। এরপর ১৯৯৫ সালে তিনি রোজারিও
ভিত্তিক ক্লাব নিওয়েল’স ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলা শুরু করেন।
২২ বছর বয়সেই তরুণ মেসি ব্যালন ডি অর এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের
পুরস্কার অর্জন করেন। বার্সেলোনার সর্বোচ্চ গোলদাতায় পরিণত হন ২৪ বছরে।
এরপর ২৫ বছর বয়সে লা লিগায় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে দুইশ’ গোল করার
কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি।
২০১৪ সালে ক্লাবও জাতীয় দলের গোল মিলিয়ে মেসি তার ক্যারিয়ারের চারশ’
তম গোলটি করেন। এ বছরেই তিনি লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লীগে সর্বকালের
সর্বোচ্চ গোলদাতার খ্যাতি অর্জন করেন।
বিতর্ক থাকলেও অনেকেই তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে দাবি করে থাকেন।
ফুটবলের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি টানা চারটি ব্যালন ডি অর পুরস্কার জিতেছেন।
প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনি তিনটি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু পুরস্কার জিতেছেন।
এছাড়াও ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে সাতটি লা লিগা, দুইটি কোপা দেল রে,
পাঁচটি স্পেনীয় সুপার কোপা, চারটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ, দুইটি উয়েফা
সুপার কাপ এবং দুইটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছেন।
চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ চারটি হ্যাট্রিকের রেকর্ডও এই ফুটবল জাদুকরের ঝুলিতে।
আর্জেন্টিনার ২০০৫ ফিফা অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জয় সম্ভব করেন মেসি।
এরপর ২০০৬ সালে আর্জেন্টিনার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে খেলতে
নামেন তিনি। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে আর্জেন্টিনা অলিম্পিক ফুটবল দলের
হয়ে স্বর্ণপদক জেতেন তিনি।
২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলের কান্ডারি ছিলেন এই লিওনেল মেসি। টানা
চার ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে দলকে ফাইনালে নিয়ে যান তিনি।
প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসাবে গোল্ডেন বল পুরস্কারও অর্জন করেন
তিনি। খেলার ধরন এবং দৈহিক গঠনের কারণে অনেকেই তাকে স্বদেশি কিংবদন্তি
ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনার সঙ্গে তুলনা করে থাকেন।
মাঠের বাইরের জীবনে শিশু সন্তান থিয়েগো ও স্ত্রী এন্তনেলা কে নিয়ে সুখী এই ফুটবল জাদুকর।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment