ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা) বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ হিসেবে আদালতে জমা দেয়া দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকার যে কাটিংটি জমা দেয়া হয়েছে সেখানে তার নাম পাওয়া যায়নি। তবে পত্রিকার ওই রিপোর্টে ফজলুল কাদের (ফকা) চৌধুরীর ছেলে উল্লেখ আছে।
১৯৭১ সালে সালাউদ্দিন উদ্দিন কাদের চৌধুরী বাংলাদেশে ছিলেন মর্মে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের দেয়া ‘দৈনিক পাকিস্তান’ পত্রিকার কাটিং পড়ে দেখা যায়, সেখানে সাকা চৌধুরীর নামই উল্লেখ নেই।
বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বধীন আপিল বেঞ্চে এটি জমা দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
জানতে চাইলে অ্যাটর্নি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসামিপক্ষ তাদের যুক্তিতর্কে বলেছিলেন- একাত্তর সালে সাকা চৌধুরী দেশে ছিলেন না। তিনি সে সময় পড়াশোনার জন্য পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি, তিনি ওই সময় দেশে অবস্থান করছিলেন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন, যা সে সময়ের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ওই সময়ের পত্রিকা সংগ্রহ করেই আজ তা আদালতে জমা দিয়েছি।’
এর আগে মঙ্গলবার রায়ের শুনানি শেষে মাহবুবে আলম এই নথি আদালতের কাছে জমা দিতে যান। কিন্তু আদালতের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আদালত তা জমা দেয়া সম্ভব হয়নি। পরে নথিটি আদালতে জমা দিতে প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করলে তা আজ বুধবার কার্যতালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়।
গতকাল সাকা চৌধুরীর আপিলের শুনানি শেষে আগামী ২৯ জুলাই রায় দেয়ার দিন নির্ধারণ করা হয়।
দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ (২৯-০৯-১৯৭১)
বোমার আঘাতে ফজলুল কাদেরের ছেলে আহত: গুলিতে ড্রাইভার নিহত
ব্যক্তি কনভেনশন মুসলিম লীগ প্রধান ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলের ওপর হামলা চালালে তিনি আহত হন। গত ২০ শে সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
গত শুক্রবার রাতে জনাব ফজলুল কাদের চৌধুরী ঢাকায় এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান যে গাড়িতে তার ছেলে ছিলো সে গাড়ীর ড্রাইভার এই হামলার ফলে নিহত হয়েছে।
জনাব ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে তার এক বন্ধুর বাড়ীতে নৈশভোজ শেষে যখন বাড়ীতে ফিরছিলেন তখনই কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি তার ওপর হামলা চালায়।
গাড়ী থামিয়ে ড্রাইভার যখন পালিয়ে যাচ্ছিল তখন দুষ্কৃতিকারীরা তার প্রতি গুলিবর্ষণ করে। এরপর তারা বোমা নিক্ষেপ করে। এই বোমার টুকরার আঘাতে জনাব চৌধুরীর ছেলে জখম হন। তাকে হাসপাতালে নেয় হয় এবং সেখানে তার চিকিৎসা করা হয়।
পিপিআই পরিবেশিত এই খবরটি লাহোরের পাকিস্তান টাইমসে প্রকাশিত হয়েছে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment