ছয় দশক পর ১৪ নভেম্বর রাতে আরও একটি বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য দেখতে পাবেন পৃথিবীবাসী। এই দিন বিগত ছয় দশকের মধ্যে সবচেয়ে কাছে আসবে পৃথিবীর একমাত্র এই উপগ্রহটি। এই বছরের ছয়টি সুপার মুনের মধ্যে এটি হবে সবচেয়ে বড়।
১৪ নভেম্বরের পরে ২০৩৪ সালের ২৫ নভেম্বর আবার এ ধরনের একটি সুপার মুন হবে। কিন্তু তখন এ বারের মতো পৃথিবীর অতোটা কাছে আসবে না চাঁদ। এর আগে ১৯৪৮ সালে এই ধরনের বিরল দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো।
বিজ্ঞানীরা বলছেন আগামী ১৪ নভেম্বর সুপার মুনটিকে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখতে পারবেন উত্তর আমেরিকার মানুষ। নভেম্বরের এই পূর্ণিমাকে আমেরিকায় ‘বিভার মুন’ও বলা হয়।
পূর্ণিমার চাঁদ যতটা বড় দেখায় তার চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি বড় দেখাবে এবারের সুপার মুনটিকে। আর তার উজ্জ্বলতা হবে সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি। ছয় দশক পর প্রথম বারের মতোই এই বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকবে পৃথিবীর মানুষ।
চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে ডিমের মতো একটা উপবৃত্তাকার কক্ষপথে। যখন পৃথিবীর একদিকে থাকা চাঁদটি তার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে সবচেয়ে কাছে চলে আসে তখনই হয় পেরিজি বা সুপার মুন।
১৯৭৯ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞানী রিচার্ড নোল ‘সুপারমুন’ কথাটির প্রবর্তন করেন। পেরিজি হচ্ছে সেই বিন্দু বা অবস্থান যেখানে চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করবে।
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় লুনার স্টাডিজের সহযোগী অধ্যাপক অনির্বাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, সুপার মুনের সময় পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব থাকে ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৯০ মাইল বা ৩ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটারেরও কম। উপবৃত্তাকার কক্ষপথের কারণে চাঁদ কখনও পৃথিবীর কাছে আসে, কখনও তা সরে যায় দূরে, অনেকটা স্বপ্নের মতোই। সবচেয়ে দূরে গেলে সেই দূরত্বকে আমরা বলি ‘অ্যাপোজি’।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment