মাদারীপুর থেকে অস্ত্রসহ ৩ ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ডিবি পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতে মাদারীপুরের সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিরাকান্দি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, চরমপন্থীরা ‘সর্বহারা দলে’র জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশে ধারাবাহিকভাবে গণডাকাতির সিদ্ধান্ত নেয়। শনিবার রাতে তারা মাদারীপুর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিরাকান্দি এলাকায় ডাকাতির চেষ্টা করে। খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা দুই রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। ডিবি পুলিশও পাল্টা তিন রাউন্ড গুলি করলে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ ধাওয়া করে ৩ ডাকাতকে ধরে ফেলে।
আটককৃতরা হলো সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কাউয়াকুড়ি গ্রামের ফজলু হাওলাদারের ছেলে কালু হাওলাদার, কালিকাপুর ইউনিয়নের বলাইরচর গ্রামের শফি মাতুব্বর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিরিকদিয়া গ্রামের হামেদ খানের ছেলে আবুল খান। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, একটি চাপাতি, একটি ছোরা, একটি দা ও একটি স্লাইরেঞ্চ উদ্ধার করা হয়েছে।
মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোবারক হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই ভীষ্মকুমার দেব বিশ্বজিৎ ও এএসআই স্বপনসহ ফোর্স নিয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ ধাওয়া করে ৩ ডাকাতকে ধরে ফেলে।
মাদারীপুর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখদেব রায় জানান, আটককৃত ডাকাত সর্দার কালুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও হত্যাসহ ১০টি বেশি মামলা ও শফির বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। অপর আটককৃত আবুল খান এই ডাকাতির প্রস্তুতিতে সহযোগী হিসেবে কাজ করছিল। আটকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতি চেষ্টা আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশের এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment