জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক ইজতেমার অংশ হিসেবে শরীয়তপুরের জেলা ইজতেমা আজ বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ ইজতেমা।
শরিয়তপুরের ৩ দিনব্যাপী এবারের ইজতেমা সদর উপজেলার আংগারিয়া বাইপাস সড়কের দক্ষিণ পাশের পরসদ্দি এলাকায় ১৭ একরের বিশাল জায়গায় আয়োজন করা হয়েছে।
ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য গত কয়েক দিন ধরেই শরীয়তপুর জেলা ছাড়াও আশ-পাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে মুসল্লিরা ময়দানে এসে সমেবত হয়।
দেশীয় জামাতসহ ১০টি বিদেশি জামাত এবং ১টি বাকপ্রতিবন্ধীদের জামাত অংশগ্রহণ করেছে শরিয়তপুরের এ ইজতেমায়। তবে গতকাল বুধবার সকাল থেকে ইজতেমা ময়দানে লোক সমাগম বাড়তে থাকে।
আগামী শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৩ দিনব্যাপী এ ইজতেমা।
শরীয়তপুর জেলার এ ইজতেমার জিম্মাদারের দায়িত্বে নিয়োজিত মুরব্বি মো. মোশারফ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা তাবলিগের মুরব্বিরা ৩ দিনব্যাপী এ জেলা ইজতেমায় গুরুত্বপূর্ণ দ্বীন ও ঈমানি বয়ান পেশ করবেন।
পরসদ্দি এলাকার ব্যক্তি মালিকানা প্রায় ১৭ একর জায়গা জুড়ে জেলা ইজতেমার মাঠ ও অবকাঠামো তৈরিতে গত দেড় মাসের আড়াই শতাধিক মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেন।
ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তা বিষয়ে জানতে চাইলে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, আজ ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তিনদিন ব্যাপী ইজতেমা । ইজতেমাকে নির্বিঘ্ন করতে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। ইতিমধ্যে ইজতেমায় ৩ স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালের ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের আড়িগাঁও-এ ৩ দিনের ইজতেমার শরীয়তপুর জেলা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে ৪০ হাজারেরও বেশি মুসল্লি অংশ নেয়।
সে বছর প্রায় দেড় লাখ মুসল্লির জুমার নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মুসল্লিদের সংখ্যা বেশি থাকায় কিছুটা সে বছর কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই এবার ১৭ একরের বিশাল পরিসরে ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment