‘ভণ্ডপীর’ পিয়ারের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ, চার্জশিট শিগগিরই - SongbadProtidin24Online.com

সর্বশেষ সংবাদ

SongbadProtidin24Online.com

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Saturday, June 9, 2018

‘ভণ্ডপীর’ পিয়ারের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ, চার্জশিট শিগগিরই

জিন-ভূত তাড়ানোর নামে তরুণীদের কৌশলে বাসায় নিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ও পর্নো ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে গ্রেফতার ‘ভণ্ডপীর’ আহসান হাবিব পিয়ারের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। 
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক সজীবুজ্জামান জানান, ভণ্ডপীর আহসান হাবীব পিয়ারের কোন ব্যাংকে কত টাকা আছে, তা জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকে অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট চেয়ে আবেদন করেছি। স্টেটমেন্ট পেলেই তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবো। স্টেটমেন্ট পেতে এক-দুই মাস সময় লাগতে পারে।

তদন্তকারী এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়াও সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, ইসলাম প্রচারের নামে সাহায্য হিসেবে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিকাশের মাধ্যমেও অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। 
প্রসঙ্গত, জিন-ভূত তাড়ানোর নামে সুন্দরী তরুণীদের কূটকৌশলে বাসায় নিয়ে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলতেন ‘ভণ্ডপীর’ আহসান হাবিব পিয়ার। ইংরেজি ও আরবি ভাষায় পারদর্শী হাবিব কথার জাদুতে তরুণীদের সহজেই আকৃষ্ট করতে পারতেন।
নানা সমস্যা নিয়ে ছুটে আসা উঠতি বয়সী মেয়েদের কথার জাদুর ফাঁদে ফেলে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলতেন তিনি। গোপনে সে দৃশ্য ভিডিও করতেন। পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আদায় করতেন মোটা অংকের টাকা।
প্রতারণার শিকার রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রী জানান, আহসান হাবিবের ইউটিউবে এইচপি নামে একটি চ্যানেল রয়েছে। ওই চ্যানেলে মাঝেমধ্যেই ছদ্মনামে হাজির হতেন তিনি। কথার জাদুতে আকৃষ্ট হয়ে ওই তরুণী তার খপ্পরে পড়েন। এক পর্যায়ে হাবিব ওই তরুণীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সে দৃশ্য ভিডিও করে পরবর্তীতে তরুণীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ ধরনের ঘটনায় বেশ কয়েকজন নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের ১ আগস্ট রাজধানীর খিলগাঁও থেকে কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিট হাবিবকে গ্রেফতার করে। ওইদিনই তার বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজমের সহকারী উপ-পরিদর্শক লুৎফর রহমান। এরপর গ্রেফতার ‘ভণ্ডপীর’কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ড শেষে ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মাঈন উদ্দিন সিদ্দিকীর আদালতে পিয়ার ঘটনার স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here