রাজধানীর মিরপুরে ১৩ নম্বরে অবস্থিত বিআরটিএ অফিসের কাছ থেকে শুরু ১৪ নম্বরের ভাষানটেক পর্যন্ত ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ, শিক্ষার্থী ও বহিরাগত যুবকদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের পর যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ইটপাটকেলে শিক্ষার্থী ও পুলিশসহ ৭/৮ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে পুলিশ স্মৃতি কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, মিরপুর গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে মিরপুর ১৪ থেকে ১০ নম্বরের দিকে আসছিল। মিছিলটি কাফরুল থানার সামনে পৌঁছালে তাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় ভাষানটেক ও মিরপুর এলাকার লেগুনা স্ট্যান্ডের বিভিন্ন পরিবহনের শ্রমিকরাও পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। তখন শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এই সংঘর্ষ চলাকালে আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় বহিরাগতদের ছবি তুলতে গেলে এক নারী ফটোসাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে তারা।
ঘটনা সম্পর্কে বিউবিটি’র এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা মিছিল নিয়ে মিরপুর ১০ নম্বরের দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় আমাদের ওপর পুলিশ ও বহিরাগতরা হামলা করে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আমরা নিরাপদে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। তখন বহিরাগতরা লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে।’
নাম প্রকাশ না করে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা কাফরুলে একজন পুলিশের মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চেক করতেছিলাম। তার মাথায় হেলমেট ছিল না। এমনকি তার গাড়ির কাগজপত্রও ছিল না। তখন পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কিছু পুলিশ এসে আমাদের ভয় দেখায়। এরপর আমাদের মারধর করে।’
তবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা সম্পর্কে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার সৈয়দ মামুন মোস্তফা বলেন, ‘বিকাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শান্ত ছিল। সন্ধ্যার আগে একটি গ্রুপ পুলিশ অর্ডার অব ম্যানেজমেন্ট (পিওএম)-এর গেট ভাঙার চেষ্টা করে। এমনকি কাফরুল থানায় প্রবেশ করার চেষ্টা করে তারা। তখন তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করা হয়। তারা উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে কাফরুল থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) কামরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর পুলিশ সবাইকে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে যায়। এক গ্রুপের পর আরেক গ্রুপ চলে আসে।’
বহিরাগত কেউ হামলা করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় আসলে বোঝা যায় না কে কোথাকার। শত শত শিক্ষার্থী ছিল ঘটনাস্থলে।’
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা মিরপুর ১৩ ও ১৪ নম্বরে নেই। তবে মিরপুর ১০ নম্বরে কিছু শিক্ষার্থী এখনও অবস্থান করছে। তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করলে পুলিশ কোনও বাধা দেবে না বলেও জানান তিনি।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment