পরমাণু বিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চের (সিইআরএন বা সার্ন) সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের পক্ষে রাষ্ট্রদূত এম শামীম আহসান এবং সার্নের পক্ষে ড. রলফ হেউয়ার শুক্রবার এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
মৌলিক পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণার জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত সার্ন ঈশ্বর কণা বলে পরিচিত হিগস-বোসন কণার অস্তিত্ব প্রমাণের মাধ্যমে বিশ্বাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। মৌলিক ও কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণার জন্য সার্নের রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গবেষণাগার।
এছাড়া বিজ্ঞানী ও গবেষকদের জন্য প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও তথ্য বিনিময়ের জন্য প্রতিষ্ঠানটির বেশ পুরনো ঐতিহ্যও রয়েছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সার্ন প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষকদের জন্য প্রশিক্ষণ ও গবেষণার ব্যবস্থা করে থাকে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে গবেষকরা ইন্টার্নশিপও করতে পারেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এম শামীম আহসান বলেন, ‘রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জনগণের সুবিধার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে সার্নের সঙ্গে এ চুক্তি আরেকটি মাইলফলক।’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সার্নের পরিচালক ড. রলফ হেউয়ার তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সফলতার কথা তুলে ধরেন এবং জনগণের দোরগোড়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে পৌছে দেয়ার বিষয়ে সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
আগামী ১৫ থেকে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা ও উন্নততর কণা বিষয়ে স্বল্পমেয়াদি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সার্নের বেলজিয়াম ও ভারতের প্রখ্যাত অধ্যাপকরা এখানে ক্লাস নেবেন।
উল্লেখ্য, মহাবিশ্ব সৃষ্টির মুহূর্তে পদার্থের ভর সৃষ্টিকারী কণা হিগস-বোসন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সত্যেন বসু এবং বিজ্ঞানী পিটার হিগসের নামানুসারে করা হয়েছে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment