এদিকে গত সোমবার সন্ধ্যায় কামারুজ্জামানের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে গেলে কামারুজ্জামান স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চান। তখন কারা সংশ্লিষ্টরা তাকে পরবর্তীতে শেষ দেখায় এ সুযোগ দেয়া হবে বলে জানান।
অন্যদিকে নাম করা জল্লাদ শাহজাহান, রনি, জনিসহ আরো যারা আছেন তাদের কেউই বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেই। তাই কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের দায়িত্ব পড়ছে নতুন কোনো জল্লাদের হাতে।
মঙ্গলবার রাতে কারাসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাতে কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী বলেন ‘আদালত থেকে রায়ের কপি পাওয়ার পর আমরা আইনগতভাবে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কামারুজ্জামানকে রাখা হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চের পাশের কনডেম সেলে। গত সোমবার সন্ধ্যায় তার স্ত্রী, সন্তানসহ আত্মীয় স্বজনরা দেখা করতে গেলে কারা কর্মকর্তারা তাদের সেলের সামনে নিয়ে যান। ফাঁসির আসামিদের সেলেই দেখা করানোর নিয়ম রয়েছে। স্বজনরা যখন সেলের সামনে গেলেন, তখন লোহার গেট বন্ধ ছিল। এই গেট দিয়ে বাইরে দেখা যায়। কামারুজ্জামানের আত্মীয়রা গেটের বাইরে থেকে কথা বলেন। এ সময় কামারুজ্জামানকে বিচলিত দেখা যায়নি।
জানা গেছে, আত্মীয় স্বজনরা যখন দেখা করতে যান সে সময় কামারুজ্জামান তার স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কিছুক্ষণ কথা বলতে সময় চান কারা কর্মকর্তাদের কাছে। তার এই আরজিতে রাজী হননি কারা কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, এটাই শেষ দেখা নয়। তার সঙ্গে আবারো দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে পরিবারের সদস্যদের। শেষ দেখার সময় তাকে স্বজনদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, কামারুজ্জামান কারাগারের যাকেই সামনে পাচ্ছেন তাকেই বলছেন, তার ফাঁসি হওয়ার পর তারা যেন দোয়া করেন যাতে তিনি বেহেশতে যেতে পারেন।
সূত্রমতে, কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করে পরিচিতি পাওয়া জল্লাদ শাহজাহান, রনি, জনিসহ আরো যারা আছেন, তাদের কেউই এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেই। কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরে অংশ নেয়া জল্লাদ শাহজাহানকে অনেক আগেই কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। রনি, জনিকেও বেশ কিছুদিন আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পাঠানো হয় কাশিমপুর কারাগারে।
তবে কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় করাগারে ফাঁসি কার্যকর করার মতো জল্লাদ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে কাকে কাকে জল্লাদ হিসেবে নেওয়া যায় তার একটি তালিকাও করা হয়েছে। ফাঁসির পুরো প্রস্তুতি নেয়ার আগে সেল থেকে তাদের বের করে এনে ফাঁসির কাজে ব্যবহার করা হবে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment