আসন্ন জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, ভুয়া প্রশ্ন বানিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া বা প্রশ্নপত্রের নামে যে কোনো রকম বিভ্রান্তি ছড়ালে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। একই সঙ্গে শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের ভুয়া প্রশ্নপত্রের পেছনে ছুটে বিভ্রান্ত না হয়ে পরীক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী।
বুধবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষা ২০১৪ সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান, শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত সচিব সোহরাব হোসাইন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তাসনিমা বেগম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রতিনিধি, সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মোখলেছুর রহমান, বিটিআরসির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোল্লা মো. জুবায়ের, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের অতিরিক্ত পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাইসুল ইসলাম, র্যাব সদর দপ্তরের উপপচিালক মেজর ইবনে মঞ্জুরুল খালিদ, ডিসি ডিবি শেখ নাজমুল আলম, ডিএমপি ডিবি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান, এসবি প্রতিনিধিসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সবগুলো কোচিং সেন্টার ও ফটোকপি দোকানগুলোর ওপর কড়া নজরদারি রাখা হবে। কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করা হবে। ফেসবুকে যাতে কেউ ভুয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে। এসব অপতৎপরতা আইনত দণ্ডণীয় অপরাধ সে কারণে জানামাত্র মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সভায় স্বরাষ্ট সিনিয়র সচিব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে পরীক্ষা বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সোহরাব হোসাইনকে আহ্বায়ক করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ জোরদার করবে এবং দ্রুত পর্যালোচনা সভায় মিলিত হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ নভেম্বর থেকে ৫ম বারের মতো জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর উভয় পরীক্ষায় অংশ নেবে ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জেএসসিতে ১৭ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৫ জন এবং জেডিসিতে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭ জন।
No comments:
Post a Comment