সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলেই গণতন্ত্র নেই, চলছে শুধু দলের প্রধানদের ব্যক্তিপূজা।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ নিউ জেনারেশন পার্টির (বিএনজিপি) তৃতীয় বর্ষে পর্দাপণ উপলক্ষে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সামান্য সুবিধার লোভে আমরা সুর পাল্টিয়ে ফেলছি। জাতি হিসেবে সংগঠিত হতে পারিনি, যার কারণে দেশের আজ এই রাজনৈতিক বিপত্তি।’
দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন তারুণ্যের উদ্যমের ওপর নির্ভর করছে বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনগুলো এখন নিজেদের মধ্যেই সন্ত্রাস করছে। দেশের ‘ইয়াং জেনারেশন’কে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে তারা।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরিবারতন্ত্র আর রাজনৈতিক নেতাদের গুনগান গাওয়ার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে তরুণদের সচেতনভাবে সংগঠিত হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘হরতালকারীরা যেমন গাড়ি ঘোড়া চললেও বলে হরতাল সফল হয়েছে, তেমনি প্রধানমন্ত্রীও বিদেশ থেকে ঘুরে এসে বলছেন সফর সফল হয়েছে।’
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে ফটোসেশন করে নির্বাচন সঠিক হয়েছে বোঝাতে চাইলেই তা জনগণ মানবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তিই এখন বাস্তবতা- এই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল গণতন্ত্র দেবে না। এই দুই দলের মধ্যে কূটনৈতিক ও গণতন্ত্রের চর্চা নেই। দল প্রধানদের যে আচরণ, এরা নিজেরাই মারামারি করবে।’
কলামিস্ট ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘সুযোগ ছাড়া কোনো ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবর্তন আসে না। বাংলার জনগণ পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত, এখন শুধু সুযোগের অপেক্ষা।’
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে সাবেক সাংসদ এস এম আকরাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. সুকোমল বড়ুয়া, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব শেখ আবুল কাশেম মিঠুন প্রমুখ অংশ নেন।
No comments:
Post a Comment