রাজনৈতিক দল, সংসদ নির্বাচন, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পৃথক পৃথক প্রতীক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় সংশোধন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৫টি প্রতীক সংরক্ষণ করেছে ইসি।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ১৪০টি প্রতীক ও একটি ক্রস চিহ্ন ছিল। এর মধ্যে ৪১টি প্রতীক রাজনৈতিক দলকে বরাদ্দ দেয়া হয়। যে প্রতীকগুলো অন্যদের বরাদ্দ না দেওয়ার বিধান রয়েছে। এছাড়া ইসির সংরক্ষিত প্রতীকের মধ্য থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হতো।
ইসির সংরক্ষিত ১৪০টি প্রতীকের মধ্যে টেবিল, চেয়ার, ছাতা, আনারস, টেলিভিশনসহ অন্তত এক ডজনেরও বেশি প্রতীক বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহার করা হতো। এতে ভোটারদের মধ্যেও এক ধরনের বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়। এ কারণে ইসি আলাদা আলাদা প্রতীকের কথা চিন্তা করে।
প্রতীক নির্ধারণ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিক দল, সংসদ নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য আলাদা আলাদা প্রতীক নির্ধারণের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল মোবারক জানান, এখনও অনেক প্রতীক রয়েছে যেটা কয়েকটি নির্বাচনে বারবার ব্যবহার হচ্ছে। মানুষ যেন প্রতীক দেখেই বলতে পারে এটা কোন নির্বাচন হচ্ছে। এ কারণেই প্রতিটি নির্বাচনের জন্য আলাদা আলাদা প্রতীক রাখা হচ্ছে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment