পরপর দু’দিন সারাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হল। এতে ফাঁটল দেখা গেছে অনেক ভবনে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে অনেক ভবন। ভূমিকম্পে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালে প্রায় ২ হাজার মানুষের প্রাণনাশ হয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের দূর্যোগ মোকাবিলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। ১৫৯ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি আনা হবে। এরমধ্যে আগামী মাসে ৫৯ কোটি টাকার যন্ত্র আনা হবে।
দুপুরে দূর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন দূর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ ত্রান সহায়তা নিয়ে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ নেপালের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কি পরিমান ত্রান নিয়ে যাওয়া হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
এদিকে সচিবালয়ে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কারণে সচিবালয়ের সবগুলো ভবনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও দর্শনার্থীরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে ভবন থেকে নিচে নেমে আসেন। সচিবালয়ের কম্পাউন্ডে মানুষ জটলা বেধে ভীত সন্তস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
ভূমিকম্প প্রসঙ্গে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান জানান, ভূমিকম্পের সময় তিনি সভাকক্ষে ছিলেন। তিনি সেখানে একটি বিমের নিচে অবস্থান করেন।
তিনি বলেন, আমি তো আর লাফ দিয়ে নিচে নামতে পারবো না। তাই বিমের নিচে অবস্থান নিয়েছি।
অবশ্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে তিনি নিচে নেমে এসে ভবনের নিচে দাঁড়ানো লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
৬ নম্বর ভবনের লিফটম্যান ইব্রাহিম খলিল বলেন, ভবন কাঁপছিল। ভয়ে সবাই তাড়াহুড়া করে নিচে নামতে থাকেন। মন্ত্রী ও সচিবরাও ভয়ে নিচে নেমে যান। সচিবালয় ভবনের সবাই আতঙ্কিত হয়ে নিচে এসে দাঁড়ান।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment