মিয়ানমার জানিয়েছে, তাদের নৌ-বাহিনী দেশটির পশ্চিম উপকূল থেকে ২০৮ জন অভিবাসীসহ সাগরে ভাসমান দুইটি মাছ ধরা ট্রলার উদ্ধার করেছে। তারা বাংলাদেশি অভিবাসী বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভবনের পরিচালক জাও হতাই।
শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আরকান রাজ্যের উপকূলে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়। ওই রাজ্যে বাস করে দেশটি মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা। সম্প্রতি বৌদ্ধদের হামলার কারণে ওই রাজ্য থেকে অনেকে পালিয়ে আন্দামান সমুদ্র দিয়ে বিদেশ পাড়ি জমানোর দুসাহসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যাদের অধিকাংশের অবস্থা এখন করুণ।
রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক বলে মনে করে না মিয়ানমার। তাদের দাবি, তারা বাঙালি। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে এসেছে তারা।
মিয়ানমানের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তিং মুয়াং সোয়েৎ শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘গতকাল ২১ মে নৌ-বাহিনীর জাহাজ সাগরে পরিদর্শনের সময় তারা দুটি নৌযান দেখতে পায়। এর একটিতে প্রায় ২০০ জন বাংলাদেশি ছিল।’
জাও হুতাই জানান, নৌ-বাহিনীর সদস্যরা তাদের মানবিক সহায়তা দেবে। পরে তাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি নির্দিষ্ট হলে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।
সম্প্রতি প্রায় তিন হাজার অভিবাসীকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ইন্দোনেশিয়া। তারা বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা বলে জানা যায়। এছাড়া মালাক্কা ও আন্দামান সমুদ্রে এখনো আট হাজারের মতো অভিবাসী সাগরে ভাসছে এবং তারা খাবার ও পানির সংকটে ভুগছে- এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিশ্ব নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে। আঞ্চলিক অভিবাসী সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক চাপের পর মিয়ানমার অভিবাসী উদ্ধারে নামে।
এদিকে মালয়েশিয়ার নৌ-বাহিনীর প্রধান আবদুল জাফর জানিয়েছেন, চার নৌ-জাহাজ অভিবাসীদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। তিনটি হেলিকপ্টার ও তিনটি সামরিক নৌযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সাগরে ভাসা অভিবাসীদের উদ্ধারে আঞ্চলিক দেশগুলোকে সাহায্য করতে তারাও প্রস্তুত হচ্ছে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment