দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭০ বছর ৪ মাস। ২০০৯ সালে এটি ছিল ৬৭ বছর ২ মাস।
বাংলাদেশ
পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্টাটিসটিকস
অব বাংলাদেশ এসভিআরএস-২০১৩ জরিপের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের পরিসংখ্যান ভবন অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে
চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
মহাপরিচালক
মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ-এর সভাপতিত্বে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব
কানিজ ফাতেমা। এ সময় ব্যুরোর অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে
জানানো হয়, প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭০ বছর ১ মাস।
প্রাথমিক প্রতিবেদন চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু চূড়ান্ত
প্রতিবেদনে তা বেড়ে হয়েছে ৭০ বছর ৪ মাস।
প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, পুরুষের চেয়ে নারীদের গড় আয়ু বেশি। নারীদের গড় আয়ু হলো- ৭০ বছর
২ মাস। যা ২০০৯ সালে ছিল ৬৮ বছর ৭ মাস। আর পুরুষের গড় আয়ু- ৬৮ বছর ৮ মাস।
২০০৯ সালে ছিল ৬৬ বছর ১ মাস। এ ছাড়া সামাজিক বিভিন্ন সূচকে এগিয়েছে দেশ।
মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। বর্তমানে মাতৃমৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ২ দশমিক ০৩ শতাংশ।
শহর
এবং গ্রাম উভয় স্থানে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহারের হার
বেড়েছে। ব্যবহারের হার দাঁড়িয়েছে ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ৬৩
দশমিক ২ শতাংশ।
দেশে
শিক্ষার হার বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে শিক্ষার হার (১৫ বছর বা
তদূর্ধ্ব মানুষ) মোট ৬১ শতাংশ, ২০০৯ সালে ছিল ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
পর্যালোচনা
করলে দেখা যায়, পুরুষের ক্ষেত্রে সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৬৫ দশমিক ১
শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে
রয়েছে
বাংলাদেশে
নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমেছে। বর্তমানে জাতীয়ভাবে শতকরা ৫৫ জন মানুষ
নির্ভরশীল (শিশু, প্রতিবন্ধী, বেকার ইত্যাদি)। যা ২০১২ সালে ছিল ৫৬ শতাংশ।
তার আগের তিন বছরে এ হার ছিল পর্যায়ক্রমে ৫৭ শতাংশ, ৬৫ শতাংশ এবং ৬৬ শতাংশ।
এক্ষেত্রে
পল্লী অঞ্চলে নির্ভরশীল মানুষের হার ৬০ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ৬১ শতাংশ।
শহর এলাকায় এ হার ৪৭ শতাংশ, যা তার আগের বছর ছিল ৪৮ শতাংশ।
আলোর
উৎস ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখা যায় দেশে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে শতকরা ৬৬
দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। যা ২০১২ সালে ছিল ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০১১ সাল থেকে
২০০৯ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এ হার ছিল ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ৫৪ দশমিক ৬ এবং
৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ। কেরোসিনের আলো ব্যবহার করছে ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ, যা
২০১২ সালে ছিল ৩৩ দশমিক ১ শতাংশ।
অন্যদিকে সৌর বিদ্যুৎসহ অন্যান্য উৎস থেকে আলো ব্যবহার করছে ০ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment