দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭০ বছর ৪ মাস !!!!! - SongbadProtidin24Online.com

সর্বশেষ সংবাদ

SongbadProtidin24Online.com

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Tuesday, July 14, 2015

দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭০ বছর ৪ মাস !!!!!

 
দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭০ বছর ৪ মাস। ২০০৯ সালে এটি ছিল ৬৭ বছর ২ মাস।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্টাটিসটিকস অব বাংলাদেশ এসভিআরএস-২০১৩ জরিপের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের পরিসংখ্যান ভবন অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

মহাপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ-এর সভাপতিত্বে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা। এ সময় ব্যুরোর অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭০ বছর ১ মাস। প্রাথমিক প্রতিবেদন চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তা বেড়ে হয়েছে ৭০ বছর ৪ মাস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষের চেয়ে নারীদের গড় আয়ু বেশি। নারীদের গড় আয়ু হলো- ৭০ বছর ২ মাস। যা ২০০৯ সালে ছিল ৬৮ বছর ৭ মাস। আর পুরুষের গড় আয়ু- ৬৮ বছর ৮ মাস। ২০০৯ সালে ছিল ৬৬ বছর ১ মাস। এ ছাড়া সামাজিক বিভিন্ন সূচকে এগিয়েছে দেশ।

মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। বর্তমানে মাতৃমৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ২ দশমিক ০৩ শতাংশ।

শহর এবং গ্রাম উভয় স্থানে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহারের হার বেড়েছে। ব্যবহারের হার দাঁড়িয়েছে ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ।

দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে শিক্ষার হার (১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব মানুষ) মোট ৬১ শতাংশ, ২০০৯ সালে ছিল ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ।

পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পুরুষের ক্ষেত্রে সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৬৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে রয়েছে

বাংলাদেশে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমেছে। বর্তমানে জাতীয়ভাবে শতকরা ৫৫ জন মানুষ নির্ভরশীল (শিশু, প্রতিবন্ধী, বেকার ইত্যাদি)। যা ২০১২ সালে ছিল ৫৬ শতাংশ। তার আগের তিন বছরে এ হার ছিল পর্যায়ক্রমে ৫৭ শতাংশ, ৬৫ শতাংশ এবং ৬৬ শতাংশ।

এক্ষেত্রে পল্লী অঞ্চলে নির্ভরশীল মানুষের হার ৬০ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ৬১ শতাংশ। শহর এলাকায় এ হার ৪৭ শতাংশ, যা তার আগের বছর ছিল ৪৮ শতাংশ।

আলোর উৎস ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখা যায় দেশে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে শতকরা ৬৬ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। যা ২০১২ সালে ছিল ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০১১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এ হার ছিল ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ৫৪ দশমিক ৬ এবং ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ। কেরোসিনের আলো ব্যবহার করছে ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ, যা ২০১২ সালে ছিল ৩৩ দশমিক ১ শতাংশ।

অন্যদিকে সৌর বিদ্যুৎসহ অন্যান্য উৎস থেকে আলো ব্যবহার করছে ০ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।

সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here