রাজধানীর মিরপুর বিআরটিএ অফিসের সামনে ছিনতাই কবলে পড়েছেন মিরপুর বাঙলা কলেজের এক ছাত্রী। এসময় ওই সড়কে দায়িত্বরত পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করলে তারা বলেন, ‘এগুলো বড়লোকের পোলাপানের কাজ। এরা মোটরসাইকেল দিয়ে ব্যাগ টান দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান, এদের হাতে নাতে ধরতে না পারলে সন্দেহ করে কোনো মোটরসাইকেল ধরলে উল্টো বিপদে পড়া লাগে।’
মিরপুর বাঙলা কলেজের মাস্টাস প্রথম বর্ষের ছাত্রী রিজিয়া পারভীন জানান, মঙ্গলবার বিকেলে কচুক্ষেতের হাইটেক থেকে ডাক্তার দেখিয়ে তারা তিন বোন এবং এক ভাগ্নি দুইটি রিকশা করে মিরপুর ১০ নম্বর সেনপাড়ার উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন। একটি রিকশায় তার বোন স্কুল শিক্ষক সুলতানা রাজিয়া ও তার ভাগ্নি। অপরটিতে তিনি ও তার বোন রাবেয়া বেগম।
রিকশাটি বিআরটিএ অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় হঠাৎ একটি মোটর সাইকেল রিকশার পেছন থেকে এসে তার ব্যাগটি নিয়ে যায়। ওই ব্যাগে একটি মোবাইল, প্রায় ২ হাজার টাকা, ডাক্তারের চিকিৎসাপত্র ও ওষুধ ছিল।
তিনি আরো জানান, মোটরসাইকেলে দু’জন ছিলেন। পেছনের জন তার ব্যাগটি নিয়ে যান। এদের সর্বোচ্চ হবে বয়স হবে ২৫ বছর। মোটর সাইকেলের পুরো নম্বর দেখতে পাননি। তবে শেষের অঙ্ক দুটি হল ২০।
রিজিয়া পারভীন আরো বলেন, ‘একটু সামনেই একটি পুলিশের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। আমরা তাদের বিষয়টি জানাই। পুলিশ আমাদেরকে বলেন এগুলো বড়লোকের পোলাপানের কাজ।’
এ ব্যাপারে কাফরুল থানায় যোগাযোগ করলে ডিউটি অফিসার বলেন, ‘ইফতারের আগ মুহূর্তে রাস্তা ফাঁক থাকার সুযোগে এই চক্রটি এধরনের ঘটনা ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। নির্জন কিংবা ফাঁকা রাস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটে। ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আমরা সব মোটরসাইকেল ধরতে পারি না।’
ওই থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘দামি মোটর সাইকেল দিয়ে বড় লোকের ছেলেরা এখন ছিনতাই করে থাকে। এদেরকে কেউ সহজে অনুমানও করতে পারে না, এরা এই কাজ করতে পারে। মাঝে মধ্যে এরা ধরা পড়ে। তখন জানা যায়, এই ছেলে ওমুক শিল্পপতি কিংবা আমলার ছেলে।’
এ ব্যাপারে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মিটিংয়ে আছেন, পরে কথা বলবেন বলে জানান।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment