সিমকার্ড
পুনঃনিবন্ধনের ক্ষেত্রে ২০১২ সালের আগে কেনা মোবাইল সিমের বিপরীতে বিভিন্ন
তথ্য (জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, বাবা-মায়ের নাম ইত্যাদি) চেয়ে গত ১৫
অক্টোবর থেকে গ্রাহকের মোবাইলে খুদেবার্তা (এসএমএস) পাঠানো শুরু করেছে
অপারেটররা। এটা আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
মঙ্গলবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে সিমের নিবন্ধন করা না হলে ওই সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে কোনো গ্রাহক যদি প্রয়োজনীয় এবং উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারেন, তাহলে বন্ধ সিম চালু করার বিষয় বিবেচনা করা হবে।’
আগামী ১ নভেম্বর থেকে সব মোবাইল অপারেটর নিজস্ব সার্ভিস সেন্টার বা কাস্টমার কেয়ারে বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে নিবন্ধন চালু করবে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে সারা দেশে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে। তথ্য বিবরণীতে আরো বলা হয়, মোবাইল সিমকার্ড নিবন্ধিত কি না বা সঠিকভাবে নিবন্ধন করা হয়েছে কি না গ্রাহকরা তা ঘরে বসেই যাচাই করে নিতে পারবেন।
গ্রাহকরা নিজস্ব মোবাইল থেকে এসএমএস করে অথবা মোবাইল অপারেটরের ওয়েবসাইটে গিয়ে সিম নিবন্ধনের সঠিকতা যাচাই করতে পারবেন। ২০১২ সালের পর কেনা সিমের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে তথ্য পাঠিয়ে নিবন্ধনের সঠিকতা যাচাই করতে পারবেন।
সিম নিবন্ধনের সঠিকতা যাচাইয়ের পদ্ধতি হলো- গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল ও টেলিটকের গ্রাহকরা মোবাইলের এসএমএস অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ, পূর্ণ নাম লিখে ১৬০০ নম্বরে পাঠিয়ে দেবেন।
সিটিসেলের গ্রাহকরা মোবাইলের এসএমএস অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে- U লিখে স্পেস দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্মতারিখ, পূর্ণ নাম লিখে ১৬০০ নম্বরে পাঠিয়ে দিবেন। ফিরতি এসএমএসে ‘Your request has been accepted, Thank you for the information’ লেখা আসবে। এসএমএস পাঠানোর জন্য মোবাইল অপারেটরেরা কোনো টাকা কাটবে না ।
১৮ বছরের নিচে কারো কাছে সিম বিক্রয় করা যাবে না, সিম থাকলেও নিবন্ধন করা যাবে না। ১৮ বছর নিচের বয়সীদের জন্য তাদের অভিভাবকদের (বাবা-মা) নামে নিবন্ধন করতে হবে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment