রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ভুয়া চাকরিদাতা চক্রের নারী-পুরুষ ১৪ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটায়িলন (র্যাব)। তারা হলেন ফারুক হোসেন (৩৪), জহুরুল ইসলাম খোকা (২৭), কামরুল ইসলাম (২৭), আব্দুল মজিদ (৫৭), মনিরুল ইসলাম (২৭), মহিবুল ইসলাম (২৭), মো. সুমন (২৬), ইউনুছ আলী, নুরনবী (৪০), তৈয়ব হোসেন (২০), শহিদুল ইসলাম সুমন (২৪), শিমুল হাসান (২৫), কিবরিয়া (১৬) ও আছমা আক্তার (৩৮)। ভুক্তভোগী এক বেকার যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে গত রোববার রাতে রাজধানীর পল্লবীর ডিওএইচএস, বারিধারা ডিওএইচএস ও মিরপুরের কথিত নগরস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশনে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৩টি সক্রিয় গ্রুপের ওই ১৪ সদস্যকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে নগর স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশনের (হেড অফিস) ভুয়া নিয়োগপত্র ১৪টি, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কেন্দ্র লি., কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ভিআইপি এগ্রো ফুড লিমিটেডের ভুয়া নিয়োগপত্র, মোবাইল সেট ১১টি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আবেদন ফরম ২০ হাজার ১৪৫টি, ভুয়া আইডি কার্ড ১৪টি, ভুয়া রসিদ বই ১১টি, সমাজকল্যাণ সংস্থার ভুয়া আবেদন ফরম ৩৩টি, রেজিস্টার ৩টি, ভর্তির ফরমে আবেদন কপি ১৪টি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রার্থীর আবেদনপত্র দুই হাজার ৫৫টি, সিডো বাংলাদেশ লিমিটেডের ইন্টারভিউ কার্ড প্রদানের সনদপত্রসহ আবেদনপত্র ৫২৫টি, ভুয়া নিয়োগপত্রের পেপার কাটিং ৪৪৫ কপি, বিভিন্ন কোম্পানির ভুয়া সিলমোহর ৭০টি জব্দ করা হয়। র্যাব-৪ সিপিসি-১ কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আবু সাঈদ খানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করেন এএসপি মুজাহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল। এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২ লক্ষাধিক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযান পরিচালনাকারীরা।
ভুক্তভোগী বেকার যুবক নজরুল ইসলাম জানান, ফেনীর অস্বচ্ছল একটি পরিবারে বড় হয়েছেন তিনি। টানাটানির সংসারে অনেক কষ্ট করে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা শেষ করেছেন। পরিবারের অভাব-অনটন দুর করার অভিপ্রায়ে মাসখানেক আগে ঢাকায় আসেন তিনি। দ্বারে দ্বারে ঘুরে অনেক চেষ্টার পরও মিলছিলো না চাকরি নামের সোনার হরিণটি। একদিন সদরঘাট এলাকায় একটি জাতীয় পত্রিকার বিজ্ঞাপনে চোখ পড়তেই আশার বাতি জ্বলে উঠে তার মনে। জানতে পারেন, নগর স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কিনিক ম্যানেজার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। বেতন ১৫ হাজার। যথারীতি আবেদন করেন তিনি। ডাক পড়ায় সাাৎকার দিতে কিছুদিন আগে বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার অফিসে যান তিনি।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment