মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় বিশ্বজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই নবনির্বাচিত এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভবিষ্যৎ নীতি ও কর্মকাণ্ড নিয়ে আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের মিত্র ও দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী উরসুলা ভন দার লিয়েন মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলকে ‘প্রচণ্ড ধাক্কা’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, তবে কী শান্তিপূর্ণ আমেরিকার সমাপ্তি ঘটলো?
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন মার্ক আয়রল্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার প্রকাশ করেছেন। তবে ট্রাম্পের ব্যক্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ ছাড়া পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি, জলবায়ু চুক্তি এবং সিরিয়া যুদ্ধের বিষয়ে পররাষ্ট্র চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ট্রাম্পের নীতি কী ধরনের হবে সে বিষয়েও নিশ্চিত কোনো ধারণা করা যাচ্ছে না বলে ফরাসি এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন।
ট্রাম্পের জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক টুইটে সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল বিল্ড বলেছেন, মনে হচ্ছে এটি পশ্চিমা বিশ্বের ডবল বিপর্যয়ের বছর হবে। টুইটে গত জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে গণভোটের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এদিকে মার্কিন এ ধনকুবের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের ডানপন্থীরা উল্লাস প্রকাশ করেছেন। ফ্রান্সের রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল ফ্রন্টের এক জ্যেষ্ঠ নেতা ফ্লোরিয়ান ফিলিপ্পট টুইটে যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘অবশেষে তাদের বিশ্বের পতন ঘটলো। আমাদের বিশ্ব তৈরি হচ্ছে’।
দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিন মেরি লি পেন টুইটে বলেছেন, আজ যুক্তরাষ্ট্র, আগামীকাল ফ্রান্স! জার্মানির অ্যান্টি ইমিগ্রেন্ট অলটারনেটিভ পার্টির উপপ্রধান বিট্রিক্স ভন স্টর্চ বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিজয়ের অর্থ হচ্ছে নাগরিকরা পশ্চিমা বিশ্বের নীতিতে পরিষ্কার পরিবর্তন চান।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত টুইটারে দেযা এক টুইটে বলেছেন, আমাদের চোখের সামনে ধসে পড়ছে বিশ্ব।
এর আগে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় মার্কিন ধনকুবের ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে অনুমতি দেয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এক ব্যবসায়িক মুঘল, সাবেক রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী ও টেলিভিশন তারকা; যার সরকারি কোনো অভিজ্ঞতা নেই, পশ্চিমা বিশ্বের অনেক সরকারই তার বিষয়ে নিশ্চিত নন; তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে তিনি ঝুঁকে পড়েন কিনা?
সূত্র : ডেইলি মেইল, রয়টার্স, মিরর।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment