শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের ২৭ কিলোমিটার এলাকার সংস্কার কাজ চলছে ধীরগতিতে। এরমধ্যেই সাড়ে সাত কিলোমিটার এলাকায় নিন্মমানের কাজের অভিযোগে মঙ্গলবার ভেদরগঞ্জের নারায়নপুর এলাকায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, সড়ক সংস্কারে বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে, পাথর ৭০ শতাংশের পরিবর্তে ৩০ শতাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি পেছনের অংশে বিটুমিন ৩ ইঞ্চি দেয়া হয়নি। অনেক স্থানে সড়কের কিনারের দিকে বিটুমিন উঠে যাচ্ছে। এছাড়া সড়কের দুই পাশে পূর্ণ ইট দিয়ে এজিং নির্মাণ করার কথা থাকলেও অধিকাংশ স্থানে এজিং দেয়া হয়েছে অর্ধেক ইট দিয়ে।
জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের সদর উপজেলার মনোহর বাজার থেকে ভেদরগঞ্জের নরসিংহপুর (আলুর বাজার) ফেরিঘাট পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়কের নাজুক অবস্থা দীর্ঘদিন থেকে। দুটি গুচ্ছ প্রকল্পের মাধ্যমে মনোহর বাজার থেকে নারায়ণপুর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সংস্কারে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। গত ১৮ মার্চ শহীদ ব্রাদার্স, এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা জেভি ও র্যাব আরসি, সরদার এন্টার প্রাইজ জেভি নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে র্যাব আরসি, সরদার এন্টারপ্রাইজ জেভি সাজনপুর থেকে নারায়নপুর পর্যন্ত যে অংশটির কাজ করছেন তার ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ওই কাজ নিন্মমানের হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে সড়কের নারায়নপুর অংশে এলাকার ক্ষুব্ধ মানুষ রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন।
সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কে বালু ও পাথর দিয়ে দুই স্তরে ৮ ইঞ্চির লেয়ার দেয়া হবে। সেখানে ৩০ শতাংশ বালু আর ৭০ শতাংশ পাথর থাকার কথা। তার উপর ৩ ইঞ্চি বিটুমিন দিয়ে কার্পেটিং করা হবে। পাথর আর বালুর মিশ্রনে কিছু হেরফের আছে। বিষয়টি আমরা দেখছি।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক সিরাজ সরদার বলেন, নিন্মমানের কাজ করার যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়। আমি কাজের সাইটে নেই, না দেখে কিছুই বলতে পারব না।
নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন তালুকদার বলেন, সড়কটি ২০১৩ সালে সংস্কার করা হয়। বছর না ঘুরতেই রাস্তাটি খারাপ হয়ে যায়। চার বছর আমরা ওই খারাপ সড়ক দিয়ে চলেছি। এখন সংস্কার কাজ হচ্ছে। সেটাও আবার নিন্মমানের।
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে পাঠিয়েছিলাম। আমিও যাব। নিন্মমানের কাজের প্রমাণ পেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment